
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও দু’জনের দেখা হওয়া নিয়ে নিশ্চিত ছিল রাজনৈতিক মহল। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে বিমস্টেক সম্মেলনের নৈশভোজে পাশাপাশি দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসকে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই প্রথম ইউনূসের সঙ্গে দেখা হল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর।
ইউনূসের কার্যালয় থেকে একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ব্যাঙ্ককের চাও ফ্রায়া নদীর পাশে শাংরি-লা হোটেলে আয়োজিত নৈশভোজে পাশাপাশি বসেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই নৈশভোজের আয়োজন করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শিনাওয়াত্রা। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা ইউনূস।
উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৮ অগস্ট বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তাঁর নেতৃত্ব দেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউনূস। এরপর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন, হিংসার ঘটনায় বারবার ভারত সরব হয়েছে। সনাতন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানায় ভারত সরকার।
এই আবহে গত সপ্তাহে চিন সফরে গিয়ে চিনের বাণিজ্য প্রসারের ভারতের উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যের কথা উল্লেখ করেন ইউনূস। বেজিংয়ে মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, “ভারতের পূর্ব দিকে সাতটি রাজ্যের চারদিকে শুধুই স্থলভাগ। সমুদ্রের আসার কোনও রাস্তা নেই। এদের সাতটি বোন বলে ডাকা হয়। এখানে সমুদ্রে একচ্ছত্র আধিপত্য আমাদেরই। তাই এই অংশে (চিনের) বাণিজ্যের একটা বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। এই জায়গাটি ব্যবহার করে চিন তাদের অর্থনীতি প্রসার করতে পারে। (চিন) জিনিসপত্র তৈরি করুক, বাজারে বিক্রি করুক। এই সমুদ্র পথে চিনে পণ্য নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সেখান থেকে বিশ্বের সর্বত্র সামগ্রী ছড়িয়ে দেওয়া যায়।” গত ৩১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক সচিব সঞ্জীব সান্যাল এই ভিডিয়োটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
এই পোস্ট ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় ভারতের রাজনৈতিক মহলে। কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে একযোগে মোহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনায় সরব হন অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। পাশাপাশি দেশের বিদেশনীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা।
Screen grab of BIMSTEC Summit official dinner on Thursday. pic.twitter.com/XHTBV1cNqV
— Chief Adviser of the Government of Bangladesh (@ChiefAdviserGoB) April 3, 2025
Be the first to comment