গত সপ্তাহে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করে বাংলার জন্য পর্যাপ্ত করোনা ভ্যাকসিনের আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী তরফে আশ্বাস মিললেও, বাস্তবে রাজ্যে করোনা টিকার ঘাটতি মেটেনি এখনও। তা নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন চিঠিতে মমতা স্পষ্ট লিখেছেন, বহুবার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকী মোদীর সঙ্গে দেখা করেও এ নিয়ে কথা বলেছিলেন। কিন্তু তারপরও বাংলা পর্যাপ্ত কোভিড টিকা পাচ্ছে না। যার ফলে রাজ্যবাসীকে টিকাদানের কর্মসূচি শ্লথ হয়েছে। এমনই যাবতীয় সমস্যার কথা জানিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে ২ পাতার চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী টিকাদানের বিস্তারিত হিসেবও তুলে ধরেছেন। বলা হচ্ছে, এই মুহুর্তে বাংলায় রোজ ৪ লক্ষ টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ১১ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো রয়েছে রাজ্যে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে, তা তুলনায় অনেকটাই কম। এখনও ১৪ লক্ষ ভ্যাকসিন প্রয়োজন, কিন্তু কেন্দ্র থেকে মিলেছে মাত্রা ২.৬৮ লক্ষ। এই হিসেব দাখিল করে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে এও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্য – উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটকে যথেষ্ট ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে বাংলার সঙ্গে এই বঞ্চনা কেন? কেন্দ্রের এই আচরণের জন্যই এ রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ এখনও রোজ টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে শূন্য হাতে ফিরে যাচ্ছেন। মোদিকে লেখা চিঠিতে কড়া ভাষায় এমনই সব বিষয় স্পষ্ট তুলে ধরেছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, এই মুহূর্তে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। কিন্তু পর্যাপ্ত ভ্য়াকসিন না পেলে, এই কড়া বিধিনিষেধ জারি করে করোনা পরিস্থিতিকে যে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে, তা পুরোটাই বৃথা যাবে। অন্যদিকে, আবার অসম ত্রিপুরাতেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাংলা সীমানায় থাকা দুই রাজ্য থেকে এখানেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক করে তুলতে পারে। তাই তাঁর আবেদন, এবার যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা পাঠানো হয় বাংলায়। এখন মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাবে কী পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্র, সেটাই দেখার।
Be the first to comment