দেশে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ। হু হু করে ছড়াচ্ছে মারণ ভাইরাস। কোনওভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে বাড়তি সংক্রমণের চাপে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে দেশের একাধিক রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। করোনা রোখার ক্ষেত্রে বিরোধীরা বারবার কেন্দ্রের সমালোচনা করছে। কয়েকদিন আগেই ১২ বিরোধী দল একটি সম্মিলিত চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীর কাছে করোনা রোখার জন্য একাধিক পদক্ষেপের দাবি করেছে।
এই সময় করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়েছে এই বৈঠক। শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মহামারী ১০০ বছরে সবচেয়ে শোচনীয় পরিস্থিতি নিয়ে এসেছে। যা পৃথিবীকে প্রতি পদক্ষেপে পরীক্ষার মধ্যে ফেলছে। অদৃশ্য শত্রু আমাদের সামনে রয়েছে।” দেশে ইতিমধ্যেই সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লক্ষেরও বেশি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করার পর দেশে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এ বারও কি সেরকম কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে কি না সেটাই দেখার।
দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ায় একাধিক রাজ্যের হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি শয্যা সঙ্কট ও ওষুধের কালোবাজারিতে সারা দেশে প্রবল সঙ্কট। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র করোনা রুখতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু তারপরেও দেশের করোনা পরিস্থিতিতে লাগাম টানা যাচ্ছে না। রাজ্যও করোনা আতঙ্কে জেরবার। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Be the first to comment