সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে রবিবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর ডাকে সর্বদল বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। বৈঠকে রাজাথ সিং, পূযূষ গোয়াল, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধীর চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জানা গিয়েছে, এবারের অধিবেশনে মোট ৩০টি বিল ‘ব়্যাটিফাই’ করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাক্তন সাংসদ এবং মিডিয়া এবার সেন্ট্রাল হতে থাকতে পারবেন না। তবে এবারের অধিবেশনে নিয়মমাফিক ভাবেই জিরো আওয়ার এবং প্রশ্ন-উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রকে বিঁধতে বহু হাতিয়ার রয়েছে বিরোধীদের হাতে। এই বছরের গোড়ায় যখন বাজেট অধিবেশন বসেছিল, তখন কৃষি আইন নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। বিরোধীরা বিক্ষোভও করেছিলেন। এবার তারসঙ্গে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির মতো ইস্যু যোগ হচ্ছে। তাছাড়া গত মার্চ থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। এই নিয়ে অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। সেই ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ দাগবে বিরোধীরা। তবে এসবকিছুর মাঝেই কেন্দ্রের নিজেদের প্রস্তাবিত বিলগুলি পাশ করিয়ে নিতে চাইবে।
এর আগে ২০২০ সালে বাজেট অধিবেশন দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সেপ্টেম্বরে অধিবেশন বসে। করোনার কারণে গতবার শীতকালীন অধিবেশনও হয়নি। চলতি বছরে বাজেট অধিবেশন করোনার সংক্ষিপ্ত আকারে হয়। এবার সংসদ বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি যে প্রস্তাব দেয়, তাতে দেখা যায় যে বাদল অধিবেশনের মেয়াদ খুব বেশি হবে না। করোনার কারণে অধিবেশনে কিছু বদলও এনেছে কেন্দ্র ৷ এখন আর আগের মতো লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন একসঙ্গে হবে না। এখন সকালে রাজ্যসভার অধিবেশন বসে। তার পর দুপুর থেকে বসে লোকসভার অধিবেশন।
Be the first to comment