‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে জোর। সোমবার বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে নেপাল পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চারদিনের এই সফরের শুরুতে আজ হিমালয়ের বুকে অবস্থিত দেশটির প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে ছ’টি মউ স্বাক্ষর করেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ২০২০ সালে সীমান্ত সমস্যার পর এটিই মোদির প্রথম নেপাল সফর। ২০১৪ সাল থেকে এপর্যন্ত পাঁচবার প্রতিবেশী ওই দেশে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম বার ওই দেশে সফরে গিয়ে বিহারের বুদ্ধগয়া থেকে একটি বোধিবৃক্ষ উপহার দিয়েছিলেন মোদি। সোমবার লুম্বিনীতে গিয়ে সেই গাছে জল দেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মায়াদেবী মন্দিরে পুজো দেন মোদি। এই সফরের পরবর্তী কর্মসূচিতে বুদ্ধজয়ন্তী উপলক্ষে ভাষণ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এদিন দেউবার সঙ্গে ছবি টুইট করে মোদী লিখেছেন, ‘বন্ধুত্বের চিরন্তন বন্ধন…!’
জানা গিয়েছে, এদিন ছ’টি মউ স্বাক্ষর করেন মোদি ও দেউবা। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে নেপালে ড. আম্বেদকর চেয়ার ফর বুদ্ধিস্ট স্টাডিস-এর স্থাপনা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ কালচারাল রিলেশন্স ও লুম্বিনী বুদ্ধিস্ট ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও, আইআইটি মাদ্রাস ও কাঠমান্ডু ইউনিভার্সিটির মধ্যে হওয়া মউ উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখ্য, চিনের কথা মাথায় রেখে নেপালের সঙ্গে সামগ্রিক ভাবে সুস্থ সম্পর্কই রেখে চলেছে নয়াদিল্লি। এর আগে কেপি শর্মা ওলির সরকারের আমলে সীমান্ত নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হয়েছিল। নেপালের নতুন সরকার আসার পর ফের সেই সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। বলে রাখা ভাল, ২০২১ সালের জুলাই মাসে কেপি শর্মা ওলিকে গদিচ্যুত করে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন নেপালি কংগ্রেসের শের বাহাদুর দেউবা। টুইট করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মোদি। ভারত-নেপাল সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। পালটা মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন দেউবাও।
Be the first to comment