গান্ধিজী’র মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদি-রাহুলের

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:-ভারতের স্বাধীনতার জন্য মহাত্মা গান্ধির আত্মত্যাগকে স্মরণ করতে প্রতি বছর ৩০ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। এই দিনটি শহিদ দিবস হিসেবেও পরিচিত। কারণ ১৯৪৮ সালের এই দিনে গান্ধিজী যখন প্রার্থনা করতে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মহাত্মা গান্ধির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিশেষ অনুষ্ঠান রয়েছে মুম্বইয়ের মণিভবনে।

বৃহস্পতিবার মহাত্মা গান্ধির ৭৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লেখেন, “পূজ্য বাপুকে তাঁর পুণ্যতিথিতে শ্রদ্ধা। তাঁর আদর্শ আমাদেরকে একটি উন্নত ভারত গড়তে অনুপ্রাণিত করে। আমাদের জাতির জন্য যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের সকলকে আমি শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের সেবার পাশাপাশি আত্মত্যাগকে স্মরণ করি।”

শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও। এদিন তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে একটি ভিডিয়োর পাশাপাশি তিনি লেখেন, “গান্ধিজী শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি ভারতের আত্মা এবং এখনও প্রতিটি ভারতীয়ের মধ্যে বেঁচে আছেন। সত্য, অহিংসা ও নির্ভীকতার শক্তি বড় বড় সাম্রাজ্যের শিকড়কেও নাড়া দিতে পারে – সমগ্র বিশ্ব এই আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা নেয়। জাতির পিতা মহাত্মা, আমাদের বাপুকে তাঁর শহিদ দিবসে শত শত প্রণাম।”
জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কলম্বিয়ার ভারতীয় দূতাবাস তাঁর এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের জাতি ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ মহাত্মা গান্ধিকে তাঁর ৭৭তম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানায়।”
সত্য ও অহিংসার দৃঢ় বিশ্বাসের জন্য পরিচিত মহাত্মা গান্ধি। বহু মানুষ এখনও তাঁর নীতি ও শিক্ষা অনুসরণ করেন। তাঁর অহিংস প্রতিবাদ ও অনশন ছিল ব্রিটিশ শাসন মোকাবিলার প্রধান হাতিয়ার। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশিষ্ট মুখ মহাত্মা গান্ধিকে ১৯৪৮ সালে ৩০ জানুয়ারি হত্যা করে মহারাষ্ট্রের হিন্দুত্ববাদী নাথুরাম গডসে।
স্বনির্ভরতা ও স্থায়িত্বের জন্য গান্ধির ওকালতি খাদির প্রচারের মাধ্যম ছড়িয়ে পড়ে। স্বদেশী দ্রব্য ব্যবহারে পক্ষে চরকা কাটা তাঁর সরলতা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার প্রতীক। ২০২৩ সালের গান্ধি জয়ন্তীতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছিল যে, নয়াদিল্লির খাদি ভবন, খাদি পণ্যের বিক্রি ১.৫২ কোটি রুপি পৌঁছে একটি নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে।
গান্ধিজীর অহিংসা ও সত্যের নীতি এখনও তাৎপর্যপূর্ণ। মানব সংঘাত, পরিবেশগত সমস্যা এবং সহিংসতার জন্য দেশের পাশাপাশি জীবনের অগ্রগতি এবং উন্নত উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের মতে, মহাত্মা গান্ধির দর্শনকে প্রতিফলিত করে এমন উল্লেখযোগ্য উদ্যোগগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল স্বচ্ছতা। জাতি গঠনের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যে অপরিহার্য সেই কথা মাথায় রেখে ২০১৪ সালে সারা দেশে স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালু করা হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*