মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার ১০ বছর পূর্তির দিনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী। সেই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ক্ষমতায় আসার পরে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে দেওয়ার জন্য ভারতীয় সেনা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায়। আদৌ জঙ্গি ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানো হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে কংগ্রেস। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চাওয়া হয়। সোমবার মোদী বলেন, প্রমাণ কীভাবে পাওয়া যাবে? কম্যান্ডোরা কি অভিযান চালানোর সময় সঙ্গে করে ক্যামেরা নিয়ে যাবে যাতে ছবি তুলে আনা যায়?
এদিন রাজস্থানের ভিলওয়ারায় নির্বাচনী জনসভা করেন মোদী। তাঁর কথায়, সেনাবাহিনী যখন শত্রু দেশে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায়, সারা দেশের মানুষ গর্বিত হন। কিন্তু কংগ্রেস নানা প্রশ্ন তোলে। তারা জানতে চায়, ভিডিওতে সেই অভিযানের ছবি তুলে রাখা হয়েছিল কি? ছবি ছাড়া তারা বিশ্বাস করবে না। কম্যান্ডোরা কি অভিযানের সময় সঙ্গে করে ক্যামেরা নিয়ে যাবে?
উপস্থিত জনতাকে মোদী প্রশ্ন করেন, আমাকে কি কখনও ছুটি নিতে দেখেছেন? কখনও কি শুনেছেন, আমি এক সপ্তাহের জন্য কোথাও বেড়াতে গিয়েছি? আমি কী কী সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং কোন কোন কাজ করেছি তার হিসাব আপনাদের দিতে পারি।
‘শহুরে নকশাল’ নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তারা বলছে নকশালরা বিপ্লবী। নকশালরা নিরাপত্তারক্ষীদের খুন করছে আর কংগ্রেস তাদের সার্টিফিকেট দিচ্ছে। আমরা নকশাল ও জঙ্গিদের তাদের ভাষায় জবাব দিয়েছি।
আগামী ৭ ডিসেম্বর রাজস্থানে বিধানসভা ভোট হবে। ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মোদী রাজস্থানে ১০ টি জনসভা করবেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও এদিন রাজস্থানে গিয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলটের সঙ্গে তিনি আজমের দরগায় যান। পরে যান পুষ্করে। পরে রাজস্থানের পশ্চিম প্রান্তে পোখরান ও জয়সলমিরে তাঁর সভা করার কথা আছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও এদিন রাজস্থানে ভোটের প্রচারে গিয়েছেন। রাজনাথ জনসভা করবেন ধোলপুর জেলার রাজাখেদা এবং বাসেদি এবং জয়পুরের বিরাট নগরে। যোগী আদিত্যনাথ জনসভা করবেন পোখরানে।
রাজস্থানে এবার স্পষ্টতই ব্যাকফুটে আছে বিজেপি। মানুষের সরকার বিরোধী মনোভাব আছে যথেষ্ট পরিমাণে। তার ওপরে নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছেন বিজেপির বেশ কয়েকজন পুরানো পার্টিকর্মী।
Be the first to comment