শীর্ষ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর পরবর্তী প্রধান বেছে নিতে সোমবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথামাফিক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা এবং লোকসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। সেই বৈঠকে মোট ১০৯ টি নামের মধ্যে সম্ভাবনার তালিকায় উঠে এসেছে মূলত তিনটি নাম।
১৯৮৪-১৯৮৭ সালের আইপিএস ব্যাচে থাকা অফিসারদের মধ্যে থেকেই পরবর্তী সিবিআই প্রধান বেছে নিতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এই কমিটি। পরবর্তী সিবিআই প্রধানের চেয়ারে বসার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে মূলত তিনটি নাম। ১৯৮৫ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার তথা উত্তর প্রদেশের পুলিশ প্রধান এইচসি অবস্থির নাম রয়েছে দৌড়ে। এ বাদেও এসএসবি-র ডিজি কেআর চন্দ্র এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের বিশেষ সচিব ভিএসকে কাউমুদির নামও রয়েছে সম্ভাব্য সিবিআই প্রধানের তালিকায়।
সিবিআই-এর বর্তমান অন্তর্বর্তী ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন প্রবীণ সিনহা। পরবর্তী ডিরেক্টর বেছে নিতে সোমবার দেড় ঘণ্টার এই বৈঠক করেন মোদী। যা আগামী ৪ মাস আগে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। সিবিআই ডিরেক্টরের পদে নিয়োগ হওয়ার দিন থেকে দু’বছর এই পদমর্যাদায় থাকা যায়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই নিজের দু’বছরের মেয়াদ শেষ করে সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে অবসর নেন ঋষি কুমার শুক্লা।
যদিও নাম বাছাই করার প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেস নেতার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দেশের অন্যতম প্রথম সারির এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর বেছে নেওয়ার সময়ও ‘গা-ছাড়া’ মনোভাব দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অধীরের দাবি, “যে পদ্ধতিতে গোটা বিষয়টা করা হয়েছে, তা কমিটির নির্দেশের পরিপন্থী। গত ১ মে আমার কাছে ১০৯ টি নাম পাঠানো হয়েছিল। আজ দুপুর একটার মধ্যে ১০ টি নাম বেছে নেওয়া হল, বিকেল ৪ টের মধ্যে তালিকায় ছিল ৬ টি নাম। এই ধরনের গা-ছাড়া মনোভাব অত্যন্ত আপত্তিকর।”
Be the first to comment