বছরের শেষ মন কি বাতে ‘ঐক্যের মহাকুম্ভে’ ‘ঘৃণা’ ও ‘বিভাজন’-কে ত্যাগের বার্তা মোদির

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা :- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২০২৫ সালের শেষ ‘মন কি বাত’। সেখানে আসন্ন মহাকুম্ভ স্নান ও মেলা নিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৩ জানুয়ারির মহাকুম্ভকে ‘ঐক্যের মহাকুম্ভ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। যেখানে দেশবাসীকে এই মহা ধর্মীয় সমাবেশে সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মহাকুম্ভের পুণ্যস্নানের মধ্যে দিয়ে ‘ঘৃণা’ ও ‘বিভাজন’-কে ত্যাগের বার্তা দিলেন মোদি। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের বার্তা এটা যে, সমগ্র দেশ এক হোক। মহাকুম্ভের বিশেষত্ব শুধু এর বিশালতায় নয়, এর বৈচিত্র্যের মধ্যেও রয়েছে।” উল্লেখ্য, কুম্ভমেলা প্রতি ৩ বছর অন্তর আয়োজিত হলেও, মহাকুম্ভের পুণ্যস্নানের তিথি প্রতি ১২ বছর অন্তর আসে। আগামী বছর অর্থাৎ, ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তিতে প্রয়াগরাজে এই মহাকুম্ভের পুণ্যস্নান হবে।
বছরের শেষ মন কি বাত থেকে আসন্ন সাধারণতন্ত্র দিবস নিয়েও বার্তা দিতে শোনা গেল নরেন্দ্র মোদিকে। উল্লেখ্য, ২০২৫-এর ২৬ জানুয়ারি ভারত তাঁর সংবিধান বাস্তবায়নের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করবে। এ নিয়ে মোদি বলেন, “আসন্ন সাধারণতন্ত্র দিবসে আমাদের সংবিধান বাস্তবায়নের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করব। এটা আমাদের সকল দেশবাসীর কাছে খুবই গর্বের বিষয়। সময়ে-সময়ে কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের সংবিধান দৃঢ়তার লড়াইয়ে সাহায্য করেছে। এটি আমাদের পথপ্রদর্শক। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে যে জায়গায় পৌঁছেছি, তার পিছনে অবদান রয়েছে সংবিধানের।”
যদিও, বিরোধী শিবির সবসময় নরেন্দ্র মোদির সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে সংবিধানকে প্রতিপদে দুর্বল করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। তবে, সেই অভিযোগ প্রতিবারই খারিজ করেছে মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সরকার। আর এ দিনের মন কি বাতের ভাষণে মোদিকে বলতে শোনা গেল, কীভাবে তাঁর সরকার সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং তার ভাবমূর্তিকে পোক্ত করেছে। আর সেই সঙ্গে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন, যখনই তারা ক্ষমতায় থেকেছে, সংবিধানের মূল্যবোধকে নসাৎ করতে চেয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*