পূর্ব মেদিনীপুরের দাসপুরের পর এ বার মারণ খেলা ‘মোমো’ থাবা বসাল পশ্চিম মেদিনীপুরেও। খেলার নেশায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবক। লিখলেন সুইসাইড নোটও। তবে, শেষরক্ষা হল পরিবারের তৎপরতায়।
ঘটনাটা দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের তুরকা এলাকার। কানাই দাসের বছর পঁচিশের ছেলে কালাচাঁদকে বেশ কয়েকদিন ধরেই মনমরা দেখে তার পরিবারের লোকজন। তাঁর আচরণেও নাকি অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। কাঁলাচাদের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, গত রবিবার মাঝ রাতে ফোন করে তিনি তাঁর এক দাদাকে জানান যে তিনি আর বাঁচতে চাইছেন না। যুবক ফোনে বলেছিলেন, ‘‘ আমি ইহজগতে আর থাকব না। আমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।’’
ভাইয়ের বক্তব্য শুনে রাতেই যুবকের বাড়িতে ছুটে আসেন তাঁর দাদা অরবিন্দ। ঘটনার কথা জানানো হয় যুবকের বাবাকেও। হই চই পড়ে যায় গোটা পরিবারে।
কাঁলাচাঁদের বাবা কানাইবাবু বলেছেন, ছেলেকে কয়েকদিন ধরে মনমরা দেখেই তাঁর সন্দেহ হয়েছিল। পরে অরবিন্দবাবুর থেকে ঘটনার কথা শুনে ছুটে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখেন তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। বাবাকে দেখে ছেলে বলে ওঠে, ‘‘মোবাইল আমাকে ডাকছে। আমাকে ছেড়ে দাও। আমাকে মরতে হবে।’’ তাঁর পকেট থেকে একটি দড়িও পাওয়া যায় বলে পরিবারের লোকজনের দাবি।
তার পর থেকেই নাকি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন ওই যুবক। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে দাঁতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের ডায়রির পাতা থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই ‘মোমো গেম’-এর কথা লেখা ছিল। পুলিশের অনুমান, খেলার অনেকগুলো স্টেজ অবধি এগিয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তবে, যুবকের কাউন্সেলিং-এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সঠিক তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Be the first to comment