ফের কি তবে জিভ ফসকালো? আরও একবার নিজের দল গুলিয়ে ফেললেন মুকুল রায়? তৃণমূল নয় বিজেপির টিকিটেই নাকি তিনি ভোটে লড়লে জিতবেন! শুক্রবার আবারও বেফাঁস মন্তব্য করলেন সদ্য দলবদলকারী বিধায়ক মুকুল রায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কৃষ্ণনগরে আবারও নির্বাচন হলে তিনিই জিতবেন।
তবে তৃণমূল নয়, বিজেপির টিকিটে লড়লেই জিতবেন। তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালে অবশ্য কী হবে, তা তিনি জানেন না বলেই মন্তব্য করেন। মুকুলের এহেন মন্তব্যে ফের একবার শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে। শুক্রবার ছিল বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দ্বিতীয় দিনের বৈঠক। প্রায় ৩৬ মিনিট পর বৈঠকে যোগ দেন মুকুল। দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আবারও বিপুল ভোটে জিতব। তবে বিজেপির টিকিটে দাঁড়াতে হবে। তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালে কী হবে, সেটা জানি না।’
এদিন বারবার তাঁর মুখে চলে আসে বিজেপির নাম। কার্যত অসংলগ্ন অবস্থায় তাঁর গলায় শোনা যায়, বিজেপির কাছে প্রশ্ন করা হলে, তার হিসাবেই উত্তর পাবে। অন্য রাজনৈতিক দলের কাছে প্রশ্ন করলে, সে জবাব দেবে। আমি বিজেপি দল হিসাবে বলেছি। আমি এখন স্বাভাবিকভাবে পুরোপুরি তৃণমূলে আছি।’ এমনকী, বিজেপির তরফে মনোনীত হয়েই তিনি PAC চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে, ত্রিপুরা ইস্যুতে আবার তৃণমূলের পক্ষ সমর্থন করেই বক্তব্য রাখেন মুকুল। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় যেটা হচ্ছে, সেটা খুব অন্যায়। এই হামলা হওয়া উচিত নয়। এটা স্পষ্ট ত্রিপুরায় তৃণমূল শক্তি বৃদ্ধি করছে। ত্রিপুরায় আগের থেকে ভাল ফল করবে তৃণমূল।’
এর আগেও স্লিপ অফ ট্যাং হয়েছিল মুকুলের। তিনি বলেছিলেন, ‘উপনির্বাচনে জয়ী হবে ভারতীয় জনতা পার্টি।’ ভুল বুঝতে পেরে ফের কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য সেই মন্তব্যের ‘সঠিক ব্যাখ্যা’ করে দেন তিনি। জানান, ‘তৃণমূল কংগ্রেস নিজের ভূমিকায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে। বিজেপি হেরে যাবে।’
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ সময় তৃণমূলে কাটালেও মাঝে বিজেপিতে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মুকুল রায়কে। এমনকী, কৃষ্ণনগরে গেরুয়া শিবিরের টিকিটে জয়ীও হয়েছেন তিনি। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর এই নেতার প্রত্যাবর্তন হয়েছে তৃণমূলেই। আপাতত তিনি রাজ্য শাসক দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সৈনিক।
Be the first to comment