দল ছেড়েছেন আর বাসভবন ছাড়বেন না বললে হবে! কার্যত এই নীতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হওয়ার পর মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন। আর তারপরই তাঁর মাথার ছাদ কেড়ে নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ধরানো হয়েছে নয়াদিল্লির ১৮১ সাউথ অ্যাভিনিউয়ের ঠিকানা থেকে মুকুল রায়কে উচ্ছেদের নোটিশ। এই বিষয়টি নিয়েই তুঙ্গে উঠেছে চর্চা।
কিছুদিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি পদে থাকাকালীন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেন। তারপরেই দিল্লিতে ১৮১, সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাসভবনটি ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে মুকুলকে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মুকুল রায়কে বাসভবন ছেড়ে দেওয়ার প্রথম নোটিশটি দেওয়া হয় ১৯ জুলাই। দ্বিতীয় নোটিশটি দেওয়া হয় ২৬ জুলাই। এই বিষয়ে ঘনিষ্ঠমহলে মুকুল রায় বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁকে বাড়িছাড়া করা হচ্ছে।’
এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ আবেদন করেছিলেন মুকুল রায়কে ওই বাসভবনে থাকতে দেওয়া হোক। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হোক। কিন্তু তাতেও কেন্দ্রীয় সরকার রাজি হয়নি। তাই এই ঘটনাকে প্রতিহিংসা হিসেবেই দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে দলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘প্রথমে দোলা সেন এবং পরে আমি তিনমূর্তি ভবনের কাছে ওই বাড়িটি মুকুল রায়ের নামে ভাড়ার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু রাজ্যসভার সতিবালয় জানিয়ে দিয়েছে, হবে না।’
সূত্রের খবর, মুকুল রায় বাসভবনটি ছাড়তে চাননি। এমনকী নিজের ইচ্ছের কথা জানান মুকুল। তখন প্রথমে সাংসদ দোলা সেন রাজ্যসভার হাউস কমিটিতে আবেদন জানান। তাঁর অতিথি হিসেবে যেন মুকুল রায়কে ভবনটিতে থাকতে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় রাজ্যসভার হাউস কমিটি। তখন ভাড়ার আবেদন জানান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
সুখেন্দুবাবুর প্রশ্ন, ‘মুকুল রায় কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিজেপিতে ছিলেন। তখন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন। কেন্দ্রপ কোনও আপত্তি করেনি। তাহলে এখন মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসতেই কেন আবেদন খারিজ হচ্ছে?’
উল্লেখ্য, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যেতেই বাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়। মুকুল রায় যাতে ওই বাড়িতেই থাকেন তার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ আবেদন করেছিলেন। যা খারিজ করে দিয়েছে সরকার। সুতরাং বাড়িটি ছেড়েই দিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আরও একটি নোটিশ দিয়ে অবিলম্বে বাসভবনটি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে মুকুল রায়কে।
Be the first to comment