নভেম্বরেই কী হতে চলেছে ১৭ পুরসভার নির্বাচন? পড়ুন বিস্তারিত!

Spread the love

উৎসবের মরসুম কেটে গেলে নভেম্বর মাসে ভোট হতে পারে ১৭ পুরসভার। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, ওই একই দিনে নির্বাচন হবে কলকাতা পুরনিগমের ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডেরও। হাইকোর্টের নির্দেশে জট কেটে ১৭ অগাস্টের মধ্যে ভোট করা যাবে বলে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা না হওয়ায় নির্বাচন আদৌ হবে কি না সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। অক্টোবর-নভেম্বর মাসের মধ্যে রাজ‍্যের ১৭টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেগুলি হল কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, নদিয়ার চাকদা এবং কৃষ্ণনগর, উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি, হাবড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান এবং গুসকরা, বীরভূমের দুবরাজপুর এবং হাওড়া পুরনিগমের। তাই নির্বাচন করার প্রয়োজন ছিল সেপ্টেম্বরেই। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তারও আগে রাজ্যের পুর দফতরে পাঠানো হয়েছে চিঠি। মে মাসের শেষ সপ্তাহে সেই চিঠি পৌঁছেছে নবান্নে। চিঠি পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকরাও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কোনও উত্তর পায়নি। ফলে সঠিক সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা যাবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, আইন মেনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজ শেষ হওয়ার পরেই পুর দফতরের কাছে নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাওয়াও হয়। কিন্তু তার কোনও জবাব এখন আসেনি বলেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ডিসেম্বর মাসে কলকাতা পুরনিগমের অন্তর্গত ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শৈলেন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়। ওই ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে নিউ আলিপুর এবং বেহালা পূর্বের সম্পূর্ণ এলাকা। কাউন্সিলরের মৃত্যুর পরে সেখানে আর কোনও নির্বাচন হয়নি। সেজন্য নেই কোনও কাউন্সিলর। ফলে কোনও নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। গতবছরের প্রথম দিকে স্থানীয় বাসিন্দা দীপক কাঞ্জিলাল কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের ডিভিশন বেঞ্চ অবিলম্বে নির্বাচন করার অগাস্ট মাসে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেই নির্দেশ না মানায়, ২০১৭ সালে সেপ্টম্বর মাসে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন দীপক কাঞ্জিলাল।

শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষের আইনজীবী নয়নচাঁদ বিহানি আদালতে জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে একাধিকবার রাজ্যের কাছে তারিখ চাওয়া হয়। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পরে আদালত জানিয়ে দেয়, ১৭ অগাস্টের মধ্যে জানাতে হবে ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন কবে হবে? একইদিনে সব পুরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাইছে রাজ্য। উৎসবের মরশুম কেটে ভোট হতে পারে বলে মনে করছিলেন অনেকে। তবে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতেও বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়ায়, লোকসভা নির্বাচনের পরে ১৭টি পুরসভার নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছেন একাংশ। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনও বার্তা রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা রাজ্য সরকারে থেকে পাওয়া যায়নি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*