জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে পৌর নির্বাচন সম্ভব নয় ৷ পৌর নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক তরজার মধ্যে এমনটাই জানা গেল নির্বাচন কমিশন সূত্রে ৷ সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে এগোলে, আগামী বছর ১৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে পৌর নির্বাচন হতে পারে বলে জানা গিয়েছে ৷
করোনা পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচন, উপনির্বাচন হলেও পৌর নির্বাচনে বাধা কোথায়, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধীরা ৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গোটা ডিসেম্বর মাস ধরে নির্বাচনী তালিকা সংশোধনের কাজ চলবে ৷ তাই সেই সময় পৌর নির্বাচন করানো সম্ভব নয় ৷
অন্য দিকে, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে আইসিএসসি এবং সিবিএসসি বোর্ডের পরীক্ষা রয়েছে ৷ সেই সময়ও নির্বাচন সম্ভব নয় ৷ তাই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নববর্ষের আবহ কাটা মাত্রই প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া গেলে, দ্বিতীয় সপ্তাহে পৌর নির্বাচন করানো সম্ভব বলে মনে করছে কমিশন ৷
২০২০-এর ৬ জুন কলকাতা পৌরসভায় তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই সময় নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি ৷ তবে মহামারিতে সাধারণ মানুষ যাতে অসুবিধায় না পড়েন এবং প্রশাসনিক কাজকর্ম যাতে সচল থাকে, তার জন্য ফিরহাদ হাকিমকে পৌরসভার বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অর্থাৎ প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়।
সেই থেকে কলকাতা পৌরসভা পরিচালিত প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরাই যাবতীয় কাজকর্ম চালিয়ে আসছেন। আগামী বছর এই বোর্ডের মেয়াদ শেষ। সে ক্ষেত্রে ৮ মে-র মধ্যে নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের মতে, মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে পুর আইনে আর প্রশাসক বসানোর সুযোগ নেই। পুর প্রশাসক ফিরহাদ যদিও বাংলা এবং কলকাতা পুর আইনকে পৃথক করে দেখার পক্ষপাতী । তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও সঙ্কট তৈরি হতে দেবেন না।
তবে বিরোধীদের আক্রমণ থামছে না। বিধানসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচন হলেও দেড় বছর ধরে পৌর নির্বাচন হচ্ছে না কেন, তা নিয়ে লাগাতার মমতা সরকারকে আক্রমণ করে চলেছে বিরোধী শিবির। এ নিয়ে বিজেপির তরফে আদালতে মামলাও দায়ের করা হয়। অভিযোগ ওঠে, হারের ভয়ে নানা অজুহাতে পৌর নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ যদিও সরকারের দাবি, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই পৌর নির্বাচন করানো হবে ৷
Be the first to comment