কলকাতা ও হাওড়ার তথাকথিত জমিদাররা একসময় তাদের জমিতে ভাড়াটে হিসাবে কিছু দরিদ্র মানুষকে বসবাসের অধিকার দিয়েছিলো। কলকাতা শহরে এরকম জমির পরিমাণ ২ হাজার একর আর হাওড়া শহরে ৫১৭ একর। পরবর্তীকালে আইনের মাধ্যমে এইসব ভাড়াটিয়াকে ঠিকা টেনান্ট হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং তাদের সুযোগ দেওয়া হয় ভাড়াটিয়া বসানোর। পরবর্তীকালে আইন সংশোধন করে তাদের সবচেয়ে বেশী ৯.৫ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন পাকা বাড়ি করার অধিকার দেওয়া হয়। অনেক ঠিকা টেনান্ট ও ভাড়াটিয়ার বাড়ি বড় করার আর্থিক সামর্থ্য থাকলেও আইনের জটিলতায় তা করার অধিকার দেওয়া হয়নি। এরফলে ঠিকা টেনান্ট ও ভাড়াটিয়ারা ছোট ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে বাধ্য হন।
মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশ হয় যে এই উচ্চতার সীমাবদ্ধতা তুলে দিয়ে কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের বিল্ডিং রুল অনুযায়ী যে উচ্চতার বাড়ি করা সম্ভব তা করতে দেওয়া। প্রস্তাব রাখা হয় যে ঠিকা টেনান্ট নিজে চাইলে বা ভাড়াটিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে চাইলে কর্পোরেশন বিল্ডিং রুল অনুযায়ী বাড়ির উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন। এই পরিবর্তনের ফলে কোনওভাবেই যাতে ভাড়াটিয়াদের অধিকার বিঘ্নিত না হয় তা লক্ষ রাখা হবে। এতে ঠিকা টেনাট ও ভাড়াটিয়া উভয়ই উপকৃত হবে। তাদের আর স্বল্প পরিসরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হবে না। এই সুবিধা প্রণয়নের জন্য আইনের সংশোধন করা প্রয়োজন। আইনে কী কী সংশোধন হবে তার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
Be the first to comment