মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করতে তৎপর নবান্ন

Spread the love

মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ওঠা অভিযোগের সত্যতা কতটা, তা যাচাই করতে এ বার উঠেপড়ে লাগলো নবান্ন। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পাতার রিপোর্টে যে অসংখ্য অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেই প্রত্যেকটি অভিযোগের জবাব দিতে চায় নবান্ন। এমনটাই খবর সূত্রের। যে কারণে প্রত্যেক জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রতিটি থানা ভিত্তিক সম্পূর্ণ রিপোর্ট তৈরি করে নবান্নে পাঠাতে।

সূত্রের খবর, মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যাওয়ার কথা ভাবছে নবান্ন। প্রসঙ্গত, “রাজ্যে আইনের শাসন নেই। শাসকের ইচ্ছাই এখানে আইন।” মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের একটি লাইন নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে আগামী ২২ জুলাই আদালতে রাজ্যের জবাব দেওয়ার পালা আসবে। তার আগে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে নবান্ন।

সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা প্রত্যেক পুলিশ সুপারকে বলেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করে দেখতে। সমস্ত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে তার বিস্তারিত রিপোর্ট নবান্নে পাঠাতে বলেছেন তিনি। নবান্নের তরফে পুলিশ সুপারদের আরও নির্দেশ, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেওয়ার পর থেকে কোন থানায় কত অভিযোগ জমা পড়েছে, তার মধ্যে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ কতগুলো, রাজনৈতিক খুনের অভিযোগ কতগুলো, সব তথ্য সবিস্তারে জানাতে হবে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওই রিপোর্টে তৃণমূলের একাধিক প্রথম সারির নেতা মন্ত্রীকে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল। তালিকায় ছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ উদয়ন গুহ, পার্থ ভৌমিক, শেখ সুফিয়ান প্রমুখ। সূত্রের খবর, তাঁদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মানহানীর মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, মামলা করার জন্য প্রয়োজনে সমস্ত রকম সাহায্য রাজ্য সরকার করবে বলেই খবর সূত্রের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*