রাজভবনের চিঠির ভিত্তিতে কোনও কাজ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের

Spread the love

আচার্যের পর উপাচার্যই সব, সরকারকে মানতে বাধ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। রাজভবনের নতুন বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে এবার পাল্টা বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকারের। সরকারি বিধির উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রাজভবনের চিঠির ভিত্তিতে কোনও কাজ নয়। রাজভবনের পাল্টা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বিজ্ঞপ্তি সরকারের ।জানানো হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে লেখা রয়েছে রাজ্যপাল যা পদক্ষেপ করবেন, তা রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর মারফত হতে হবে। কিন্তু, এক্ষেত্রে আইন মানা হচ্ছে না। তাই গত ২ সেপ্টেম্বরের রাজভবনের নির্দেশ যাতে কোনওভাবে কার্যকরী করা না হয়। নির্দেশে জানাল দফতর।
এর আগে রাজভবনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, উপাচার্যর মান্যতা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা সরকারি নির্দেশ মানতে বাধ্য নন। উপাচার্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান নির্বাহী কর্তা। তাঁর নির্দেশ মেনে চলতে হবে সহ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকেও। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজ্যপালের গাইডলাইন মেনে চলতে হবে বলেও রাজভবনের এই নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ উল্লেখ করে, ঝাড়গ্রামের সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে নিয়োগ প্রসঙ্গেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছে রাজভবন।
এদিকে, রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই, রবিবার মধ্যরাতে আরও ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রাশ কার হাতে থাকবে? তা নিয়ে রাজভবন-নবান্ন টানাপোড়েন চলছিলই। এবার তা নতুন মাত্রা পেল রাজভবনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে। সম্প্রতি উচ্চশিক্ষার নানা বিষয় নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের টানাপোড়েন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক বিষয় সম্পর্কে উপাচার্যদের নিয়মিত রিপোর্ট চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজভবন।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে, আচার্য করতে বিধানসভায় বিল পাস করায় রাজ্য সরকার। সম্প্রতি, আচার্য-রাজ্যপাল বোস, ৮টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন। ৩ জন উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ দেন । যাকে বেআইনি বলে আখ্যা দেয় সরকারপক্ষ। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*