রোজদিন ডেস্ক :-
ফের রাজ্যের মুখ্যসচিবের চিঠি জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনায় বসার জন্য।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বৈঠকে ডাকল নবান্ন। তাঁদের জানানো হয়েছে, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হবে না। তা রেকর্ড করা হবে। অর্থাৎ, আন্দোলনকারীরা যে শর্তগুলি দিয়েছিলেন, সেগুলি মানা হচ্ছে না। নবান্নের চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিনের চিঠিতে মুখ্যসচিব মোনজ পান্থ লেখেন, ‘‘রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য সরকার আপনাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে যে নির্দেশ দিয়েছে, তা-ও মাথায় রাখতে হবে। আপনারা জানেন, আপনাদের প্রতিনিধিদের জন্য বৈঠক করতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী গত দু’দিন ধরে নবান্নে অপেক্ষা করেছেন। আমরা আলোচনায় বসতে চাই।’’
চিঠিতে বলা হয়েছে—
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদের বৈঠকের জন্য ডাকা হচ্ছে। নবান্নের কনফারেন্স হলে ওই বৈঠক হবে।
সুষ্ঠু আলোচনার জন্য আন্দোলনকারীদের ১৫ জন প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দেবেন।
নবান্নের বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হবে না। তবে স্বচ্ছতার জন্য তা রেকর্ড করা যেতে পারে। এতে চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যও সফল হবে, গোটা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাও বজায় থাকবে। বৈঠকে যা যা আলোচনা হবে, তা নথিভুক্ত থাকবে।
জুনিয়র ডাক্তারদের সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন মুখ্যসচিব। সেই সঙ্গে তিনি চিঠিতে ডাক্তারদের ১৫ প্রতিনিধিকে বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটের মধ্যে নবান্নে পৌঁছে যেতে অনুরোধ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কারা দেখা করবেন, সেই প্রতিনিধিদের নাম ইমেল মারফত জানাতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল, বুধবার ভোররাতে জুনিয়র ডাক্তাররা যে ইমেল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাতে তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের অন্তত তিরিশ জন প্রতিনিধিকে আলোচনায় ডাকতে হবে। এবং যে আলোচনা হবে তা লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। যাতে গোটা বাংলার মানুষ তা জানতে পারেন।
এর পর গতকালই দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ মেল করে সন্ধে ৬টায় তাঁদের নবান্নে ডাকেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে সেই চিঠিতে লেখা ছিল না, যে মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠকে থাকবেন। তা ছাড়া মনোজ পন্থ জানান, ডাক্তারদের মধ্যে থেকে যেন ১২ থেকে ১৫ জন বৈঠকে যোগ দিতে আসেন। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথাও লেখা ছিল না তাতে।
এই মেলের উত্তরে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে লেখেন, ‘প্রস্তাবিত এই মিটিং সম্পর্কে কয়েকটা কথা উল্লেখ করতে চাই।’ এর পরে পাঁচটি পয়েন্ট লেখেন তাঁরা। ১. অন্তত ৩০ জন প্রতিনিধি আমরা পাঠাতে চাই বৈঠকে। ২. সব পক্ষের মধ্যে স্বচ্ছতা রক্ষা করার কারণে এই বৈঠকের লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। ৩. আমাদের যে পাঁচদফা দাবি রয়েছে, তার উপরেই মিটিংয়ের আলোচনা করতে চাই আমরা। ৪. আমরা জোর দিয়ে বলছি, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতেই হবে।
Be the first to comment