বুধবার ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক বিজেপির, কোনো রকম বনধ মানা হবেনা, থাকছে সচল সবই,সরকারি চাকুরেদের কড়া বার্তা নবান্নর

Spread the love

অমৃতা ঘোষ:-

বুধবার শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচির দিনেই বাংলায় ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত থাকছে বাংলা বনধ।

কিন্তু নবান্ন বিজেপির বনধ কে সমর্থন দেয় নি। বরং নবান্নর তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো আগামীকালও সচল থাকবে জনজীবন।
এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আজ সারাদিন ধরে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হয়েছে। ছাত্রদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমবেদনা আছে। চিকিৎসক ছাত্রীর প্রতি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তার সুবিচার আমরা সবাই চাই। এখন বিষয়ের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআইয়ের দ্রুত তদন্তের অধিকার ও সুবিচার চাওয়ার অধিকার আমাদের সবার আছে। আজ মহানগর এবং আগামীকাল বাংলাকে স্তব্ধ ও অচল করার দেওয়ার যে প্রয়াস হচ্ছে তা অসমর্থনীয়। ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা ও পরীক্ষা আছে এবং চলছে। শারদোৎসবের বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহৎ সংখ্যক মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। আপৎকালীন পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে। কালকের ধর্মঘট মানা হবে না, সচল থাকবে জনজীবন। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ এই বনধে অংশ নেবেন না। সরকারি কর্মীদের নির্দেশ অফিসে অবশ্যই স্বাভাবিক নিয়মে আসবেন। দোকানপাট সহ সব কিছু খোলা থাকবে। অনুকূল ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে সচল রাখার ক্ষেত্রে। কাল পরিবহণ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রাইভেট বাস, মিনিবাস অপারেটরের প্রতিও অনুজ্ঞা থাকবে। বাংলাকে সর্বতভাবে সচল রাখতে হবে। ‘

এছাড়া বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বুধবার কলকাতা শহরে সমাবেশ হতে চলেছে। তবে মঙ্গলবারের কর্মসূচির সঙ্গে সরাসরি শাসকদলের এই কর্মসূচির কোনও মিল নেই।

বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধ এর বিপরীতে কাল নামছে তৃণমূল ছাত্র সংগঠন। কারণ, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে প্রতিবারই ২৮ অগস্ট মেয়োরোডে সমাবেশ হয়ে থাকে। তবে দুই পক্ষের শাসকদলই পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
স্বভাবতই এমন পরিস্থিতিতে একদিকে গেরুয়া শিবিরের বনধ, অন্যদিকে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠান ঘিরে নতুন করে রাজ্য রাজনীতি উতপ্ত আবহাওয়ার আশঙ্কা দিচ্ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*