কংগ্রেসে যোগ দিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রভাবশালী ব্রাহ্মণ নেতা

Spread the love

জিতিন প্রসাদ, আরপিএন সিং, সুস্মিতা দেব, হার্দিক প্যাটেল, কপিল সিব্বাল। গত কয়েকমাসে মাসে আরও এমন বহু প্রভাবশালী নেতা কংগ্রেস ছেড়েছেন। একের পর এক দলত্যাগের ধাক্কায় এখন জরাজীর্ণ শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দলটি। এ হেন সংকটের মধ্যে হাত শিবির খানিক অক্সিজেন পেল উত্তরপ্রদেশ থেকে। যোগীর রাজ্যের প্রভাবশালী ব্রাহ্মণ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নকুল দুবে যোগ দিলেন কংগ্রেসে।

দুবে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন মায়াবতীর বিএসপির সঙ্গে। বহুজন সমাজ পার্টির অন্যতম প্রধান ব্রাহ্মণ মুখ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে বিধায়ক হন দুবে। মায়াবতীর মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীও করা হয় তাঁকে। এরপর বার দু’য়েক লোকসভা ভোটেও লড়েন নকুল দুবে। কিন্তু দু’বারই পরাস্ত হন। তা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাল প্রভাব রয়েছে নকুলের। তাঁর যোগদানে ধুঁকতে থাকা উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস কিছুটা অক্সিজেন পাবে বলে দাবি করেছে দল।

শুক্রবার দিল্লিতে দলের সদর দপ্তর এসে হাত শিবিরে নাম লিখিয়েছেন নকুল। তার আগেই অবশ্য উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজীব শুক্লা। আসলে, মায়াবতীর দল লাগাতার নির্বাচনে ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিএসপি নেত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্য বিরোধীদের মতো সক্রিয় নয় বলেও অভিযোগ উঠছে। সেকারণেই নকুল হাত শিবিরে নাম লেখালেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি।

বস্তুত, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর সেরাজ্যে কংগ্রেস ধুঁকছে। দলের ভোট নেমে এসেছে আড়াই শতাংশে। রাজ্যে বিধায়ক সংখ্যা সাকুল্যে দুই। সাংসদ সংখ্যা এক। কোনও বড় নেতাকে লড়াইয়ের ময়দানে নেই। এমনকী কংগ্রেসের কোনও প্রদেশ সভাপতিও নেই এই মুহূর্তে। প্রায় দু’মাস হয়ে গেলেও প্রদেশ সভাপতি পদে গ্রহণযোগ্য কাউকে বসাতে পারেনি কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে নকুলের যোগদানে জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি আগামী দিনে এই ব্রাহ্মণ নেতার হাতেই দলের ব্যাটন তুলে দিতে চলেছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*