কেটে গিয়েছে ১৬ বছর। আজকের দিনে নন্দীগ্রামে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালায় পুলিশ। মারা যান ১৪ জন। রাজ্যের বাম শাসন শেষ করে তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার পিছনে এই দিনের ঘটনা গভীর প্রভাব আছে বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। সেই থেকে প্রতিবছর তৃণমূল নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে। তবে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে এই দিনকে পালন করা নিয়ে বিরোধ বাড়ে শাসকদল ও অধিকারী পরিবারের। আজকেও আলাদা ভাবে পালন হচ্ছে নন্দীগ্রাম দিবস। যা নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক পারদ।
আজ সকালেই শহিদের সম্মান জানাতে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি শহিদের স্মৃতি মনে করিয়ে লেখেন, “সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনীর অত্যাচারে নিহত সকল শহিদের প্রমাণ জানাই”। পাশাপাশি এক্স হ্যাণ্ডেলে তিনি লেখেন, “কৃষক দিবসে সকল কৃষক ভাইবোন ও তাঁদের পরিবারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। নন্দীগ্রামে কৃষিজমি আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যই প্রতিবছর এই দিনটিকে আমরা কৃষক দিবস হিসেবে পালন করি। আগামি দিনেও আমরা এভাবেই আমাদের কৃষকদের পাশে থাকব।”
পোস্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লেখেন, “নন্দীগ্রাম দিবসে সকল শহিদের জানাই শ্রদ্ধার্ঘ্য।” নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে শহিদ স্মরণ দিবস পালন করছে তৃণমূল। উপস্থিত আছেন তৃণমূলের তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাশু ভট্টাচার্য, স্নেহাশিস চক্রবর্তীরা।
অন্যদিকে, আজ সকালে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ” নন্দীগ্রামে সেদিন মা-বোনেদের ভূমিকা দেখেছি। এখন সন্দেশখালিতেও মা-বোনেদের দেখছি। সেদিনও জোর করে জমি নেওয়া হয়েছিল। আজও জোর করে ধানের জমি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।”
Be the first to comment