নন্দীগ্রামের ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার শুনানি তিন মাস পিছিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শম্পা সরকারের আদালত একথা জানিয়েছে। মামলাটি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে সুপ্রিম কোর্টে সরানোর আবেদন জমা পড়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের ভোটগণনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে জয় ছিনিয়ে নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পর ওই গণনাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মমতা। তাঁর অভিযোগ, গণনায় কারচুপি হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি শম্পা সরকার জানান, ১৫ নভেম্বর ফের শুনানি হবে মামলাটির।
মামলাটি প্রথমে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে ওঠে। কিন্তু বিচারপতিকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে মমলা অন্যত্র সরানোর দাবিতে সরব হন মমতা। অবশেষে বিচারপতি চন্দ সেই মামলা থেকে অব্যাহতি নেন। তবে মন্তব্য করেন, ‘এভাবে বিচারপতিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করা বিচারব্যবস্থাকে কলুসিত করার চেষ্টা মাত্র।’ সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন তিনি।
এদিন আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী জানতে চান, সেই জরিমানার টাকা জমা পড়েছে কি? জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ইতিমধ্যে আদালতে জরিমানার টাকা জমা দিয়েছেন মামলাকারী। তবে নন্দীগ্রাম মামলা অন্যত্র সরে গেলে কলকাতা হাইকোর্টে আর শুনানির প্রশ্ন থাকবে না। সেক্ষেত্রে এদিনই ছিল কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শেষ শুনানি।
Be the first to comment