নারদ মামলায় জামিন বাড়লো তিন রাঘববোয়ালের ৷ কুড়ি হাজার টাকার বন্ডে ফিরহাদ-মদন-শোভনকে অন্তবর্তী জামিন বাড়ালো সিটি সিভিল কোর্ট। পরবর্তী শুনানি ২৮ জানুয়ারি ৷ এই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন সদ্য প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও।
নারদ মামলায় এর আগে সিবিআই চার্জশিট পেশ করেছিল ৷ সেই মামলায় ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন ফিরহাদ-শোভন-মদন-সুব্রত ৷ সেপ্টেম্বর মাসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আলাদা একটি চার্জশিট পেশ করে নগদ দায়রা আদালতে। সেই মামলায় সেপ্টেম্বর মাসে এই চারজনের বিরুদ্ধে সমন পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার কুড়ি হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনজনের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে।
এদিন আদালতে জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর শোভন বলেন, “আমাদের ইশ্বরে বিশ্বাস আছে। আইনের ওপর বিশ্বাস রয়েছে। সিবিআই যেদিন নিয়ে গিয়েছিল, সেদিনও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ছিল। আমরা যেদিন ইডি দফতরে গিয়েছিলাম, সেদিনও ছিল, আজও রয়েছেন। আমাদের লড়াই এক সংগ্রাম। আমাদের কারোর প্রতি কোনও শত্রুতা নেই। ইশ্বর রয়েছে। আজকের দিনটা হল প্রমাণিত সত্য। যে ব্যক্তির কথা বলা হচ্ছে, তাঁকে আমি চোখেও দেখিনি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের কোনও প্রশ্নই আসছে না। বহু ঝড় গেল। কেউ বুঝে করেছেন, কেউ না বুঝে ধারণায় করেছেন। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
তবে এদিন তিন হেভিওয়েট হাজিরা দিলেও, আদালতে আসেননি অপর অভিযুক্ত আইপিএস সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। কেন তিনি আসেননি, সে প্রশ্ন তোলে ইডি। তাদের দাবি, মির্জার জামিন বাতিল করা হোক। ইডি-র তরফে আদালতে সওয়াল করা হয়, বাকিরা এসেছেন। এক্ষেত্রে কেন মির্জা আসবেন না? তাঁর জামিন বাতিল হবে না কেন? অন্তর্বর্তী জামিন আছে মানেই, তিনি আদালতে আসবেন না এটা হতে পারে না। এই বিষয়ে আগে থাকে তাদের কিছু জানানো হয়নি বলেও আদালতে সওয়াল করে ইডি।
Be the first to comment