সরকারি কাজের মান কেমন? যাচাই করতে এখন নতুন ‘হাতিয়ার’ ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সশরীরে অকুস্থলে গিয়ে নয়, কাজের পর্যালোচনা করতে ড্রোন ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার দিল্লিতে ড্রোন মহোৎসবে নিজেই সেই রহস্য ফাঁস করেছেন মোদি। খানিকটা রসিকতার সুরে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফাঁকিবাজি বা দুর্নীতি রুখতে ড্রোনের মাধ্যমেই বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাচ্ছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবরই বলে আসছেন, ফাঁকিবাজি তাঁর পছন্দ নয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই তাঁর মূল লক্ষ্য। কিন্তু তাঁর পক্ষে গোটা দেশে নজরদারি চালানো সম্ভব নয়। তাহলে কীভাবে নজরদারি চালান তিনি? মোদির বক্তব্য,” আমি আগে থেকে বলি না যে ওখানে পর্যবেক্ষণে যাচ্ছি। ড্রোন পাঠিয়ে দিই। সব তথ্য আমার কাছে চলে আসে। কেউ বুঝতেও পারে না। অথচ আমি বুঝতে পেরে যাই কোথায় কী হচ্ছে।” মোদির বক্তব্য, শুধু সরকারি কাজ করলেই হবে না। সেটার মান কেমন সেদিকেও নজর রাখতে হবে। আর সেই কাজে হাতিয়ার হতে পারে ড্রোন।
আসলে দেশে ড্রোন উৎপাদন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বরাবরই সচেষ্ট প্রধানমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যেই দিল্লিতে দু’দিনের ড্রোন মহোৎসবের আয়োজন করেছে সরকার। শুক্রবার সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই ড্রোনের নানান উপকারিতা তুলে ধরছিলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদেরও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন ড্রোনের মাধ্যমে সব সরকারি কাজে নজরদারি চালাতে।
মোদির বক্তব্য, আগামীদিনে ভারতকে ড্রোন হাব হিসাবে গড়ে তুলতে চান তিনি। ড্রোনের ব্যবহারের ফলে বহু নিয়মের সরলিকরণ সম্ভব। পুলিশ, ট্রাফিক, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ড্রোনের গুরুত্ব অনেক। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা, কৃষিক্ষেত্র, নদরদারি চালানো, এমনকি পর্যটনের ক্ষেত্রেও আগামী দিনে ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মোদির বক্তব্য আগামী দিনে কৃষিকাজ এবং বনসৃজনে বিরাট ভূমিকা নেবে ড্রোন।
Be the first to comment