তাঁর আশীর্বাদেই এসেছে সাফল্য। তিনি পাশে ছিলেন বলেই লড়াই করে জীবনের এতখানি পথ পেরিয়েছেন। তিনি হীরাবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনে তাঁর মায়ের অবদান এতটাই। ১৮ জুন দিটান তাই মোদির কাছে ভীষণ স্পেশ্যাল। কারণ এই দিনেই ১০০ তম জন্মদিন তাঁর মা হীরাবেনের। এমন দিনে মায়ের থেকে কি দূরে থাকা যায়? একেবারে নয়। তাই সোজা পৌঁছে গিয়েছিলেন মায়ের কাছে। তাঁর জীবনে মায়ের গুরুত্ব ঠিক কতখানি, সে নিয়ে ধরলেন কলম। দিলেন বিশেষ বার্তাও।
শনিবার সাতসকালে গুজরাটের গান্ধীনগরে হীরাবেনের বাড়িতে পৌঁছে যান মোদি। শততম জন্মদিনে মায়ের সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্তগুলি তিনি তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হীরাবেনের পা ধুইয়ে দিচ্ছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিচ্ছেন মায়ের আশীর্বাদ। ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “মা, আমার এ বিশ্বে হাজারো আবেগ জড়িয়ে। আজ, ১৮ জুন আমার মা শততম বর্ষে পা দিলেন। এমন বিশেষ দিনে তাঁর প্রতি ভালবাসা, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাতে আমি কলম ধরেছি।”
এরপরই তিনি জানান, আজকের দিন তো বটেই, চলতি বছরটিও তাঁর কাছে স্মরণীয়। কারণ তাঁর বাবা বেঁচে থাকলে গত সপ্তাহে তিনিও শততম জন্মবার্ষিকী পালন করতেন। মোদির কথায়, “আজকের দিনটা মায়ের সঙ্গে কাটাতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। বাবা গত না হলে তিনিও গত সপ্তাহেই একশোর ঘরে পা রাখতেন। তাই ২০২২ সালটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশ্যাল।”
১৯২৩ সালের ১৮ জুন জন্মগ্রহণ করেন হীরাবেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি শপথ নেওয়ার সময় থেকেই তাঁর মা হীরাবেনও দেশবাসীর কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। যে কোনও নতুন দায়িত্ব গ্রহণের আগেই মায়ের আশীর্বাদ নেন প্রধানমন্ত্রী। হাজারো ব্যস্ততার মাঝে মায়ের শততম জন্মদিনটিও তাঁর সঙ্গেই কাটাচ্ছেন মোদি। এদিন হীরাবেনের জন্মদিন উপলক্ষে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আহমেদাবাদের জগন্নাথ মন্দিরে সাধারণ মানুষকে খাওয়ানোর বন্দোবস্তও করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আজ পভাগড় মন্দির দর্শনের কথা প্রধানমন্ত্রীর। তারপর যোগ দেবেন ভদোদরার সম্মেলনে।
Be the first to comment