ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে আইএসএফের সভার অনুমতি দেয়নি আদালত। আদালতের নির্দেশকে সম্মান জানিয়েই নওশাদ সিদ্দিকীর হুঁশিয়ারি, ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে আগামিদিন সভা হবেই। একইসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল যত এরকম করবে, ততই আইএসএফের ব্যাপ্তি বাড়বে। নওশাদের কথায়, “আমাদের সভা বাতিল করতে এজি দাঁড়িয়েছেন, এটাই তো আমাদের জয়। আদালতের নির্দেশ আমরা মানবই। আইনের প্রতি আমাদের ভরসা আছে।” ২১ জানুয়ারি নওশাদের দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস। এদিন তাঁরা ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। এ নিয়ে আদালতে মামলা হয়।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করার অনুমতি দিলে রাজ্য সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। আদালত জানায়, এখানে এদিন সভা করা যাবে না। তবে কোনও ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাইলে করতে পারে বলে আদালত পরামর্শও দেয়।
এরপরই নওশাদ জানান, “আগামিকাল রবিবার বাছাই করা এক হাজার জনকে নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটে থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সভা হবে।” ১ হাজার জনকে নিয়ে সভার নির্দেশ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চই দিয়েছিল। যা ডিভিশন বেঞ্চ বহাল রাখে। নওশাদ বলেন, “ভিক্টোরিয়া হাউজ এলাকা কারও পৈতৃক সম্পত্তি না। এই দম্ভ আমরা ভাঙবই। রবিবার আমাদের সভাকে বুথে বুথে দেখানোর জন্য টিভি, মনিটর, প্রজেক্টরের ব্যবস্থা হবে। বুথে বুথে পতাকা উত্তোলন করা হবে।” তবে রবিবারের সভা নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ করেন নওশাদ।
ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর দাবি, সভায় আগত কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে পুলিশ। নওশাদের কথায়, “আমাদের কাছে খবর আছে। যাতে আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করার অভিযোগ করতে পারে। সেটা ওরা করবেই। দয়া করে কেউ কলকাতায় আসবেন না। যাঁরা বাস, গাড়ি ভাড়া করেছেন, বাতিল করুন। ট্রেনের টিকিট বাতিল করুন। আমাদের রাগ হচ্ছে, আপনাদের রাগ হচ্ছে। সেই রাগকে ব্যালট বাক্সে নিয়ে যান। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে দশটা করে ভোট নিয়ে আসুন।”
Be the first to comment