করোনায় বিধ্বস্ত দেশ, ‘ইয়াসে’র তাণ্ডবেও মোদীর কাছে ক্ষতিপূরণ চাইলেন না ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক

Spread the love

সাইক্লোন ‘ইয়াস’ আছড়ে পড়েছিল সেরাজ্যেই। আশঙ্কার তুলনায় কম বলেও ক্ষয়ক্ষতি নেহাত কম হয়নি ওড়িশায়। অথচ, সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেনজির উদারতা দেখালেন। জানিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে গোটা দেশ করোনায় বিপর্যস্ত। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে কোনওরকম আর্থিক ক্ষতিপুরণ তিনি চান না। যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিজেদের অর্থ ব্যয় করেই ঠিক করতে চায় ওড়িশা সরকার। যদিও, না চাইতেও কেন্দ্রের কাছে মোটা অঙ্কের সাহায্যই পেয়েছেন তিনি। নবীন পট্টনায়েকের রাজ্যকে যশ মোকাবিলায় ৫০০ কোটি টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শুক্রবার বাংলায় পা রাখার আগেই ওড়িশায় যশ নিয়ে রিভিউ মিটিং করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খতিয়ে দেখেছেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। সেজন্য টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এরপরই জানিয়ে দিয়েছেন, ইয়াস মোকাবিলায় এখনই কোনওরকম সাহায্য প্রয়োজন নেই ওড়িশার। টুইটারে তিনি লেখেন,”দেশ যেহেতু করোনার ধাক্কায় বিপর্যস্ত, তাই আমরা কেন্দ্রের কাছে তাৎক্ষণিক কোনও আর্থিক সাহায্য চাইনি। আমরা নিজেদের ক্ষমতাতেই এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে চাই।”

তবে, তাৎক্ষণিক সাহায্য না চাইলেও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার পরিকাঠামো তৈরির জন্য কেন্দ্রের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। আসলে গত ৩ বছরে ৬টি সাইক্লোন সামলাতে হয়েছে সেরাজ্যকে। পট্টনায়েক চাইছেন, আগামী দিনে তাঁর রাজ্য যেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, তা নিশ্চিত করতে।  

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ওড়িশার বালাশোরের কাছেই আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। সেসময় হাওয়ার গতিবেগ ছিল ১৩০ কিলোমিটারের উপরে। উপকূলবর্তী রাজ্যটিতে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে যশ। তবে, প্রশাসনের তৎপরতায় বড়সড় প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। প্রাণ গিয়েছে ৩ জনের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওড়িশায় সম্পত্তিহানিও হয়েছে আশঙ্কার থেকে অনেক কম। তাই করোনা পরিস্থিতিতে আর কেন্দ্রের বোঝা বাড়াতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বরং তিনি জোর দিতে চান স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ার দিকে। আর সেকাজেই সাহায্য চান কেন্দ্রের।

যদিও, শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের ইচ্ছাতেই ওড়িশাকে ক্ষতিগ্রস্ত তিন রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। বাংলা-ওড়িশা যেখানে সম্মিলিতভাবে ৫০০ কোটি টাকা সাহায্য পেয়েছে, সেখানে ওড়িশা একাই পেয়েছে ৫০০ কোটির সাহায্য। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*