নভি মুম্বইয়ে এবার উদ্ধার হল ব্যাঙ্ক কর্তার দেহ

Spread the love
নভি মুম্বইয়ের একটি বহুতলের সামনে নিখোঁজ ব্যাঙ্ক কর্তা সিদ্ধার্থ সাঙ্ঘভি’র গাড়ি উদ্ধারের পরই ঘুম ছুটেছিল পুলিশের। গাড়ির দরজায়, পিছনের সিটে পড়ে ছিল চাপ চাপ রক্ত, সেই সঙ্গে রক্তমাখা ছুরি। সত্যিই কি নিখোঁজ হয়েছেন সিদ্ধার্থ, না কি খুন করা হয়েছে তাঁকে? প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। রহস্যের জট খুলতে খুলতে  এ বার উদ্ধার হল ব্যাঙ্ক কর্তার দেহ। সেই সঙ্গে পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক অপরাধী।
তদন্তকারীদের কথায়, ধৃত যুবকের নাম সারফারাজ শেখ। বয়স বছর কুড়ি। ঠিকা শ্রমিকের কাজ করে সে। সম্ভবত  তাকে দিয়েই খুন করানো হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। সারফারাজকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
বছর উনচল্লিশের সিদ্ধার্থ সাঙ্ঘভি এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন। গত বুধবার কমলা মিল কম্পাউন্ডে তাঁর অফিস থেকে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। সিদ্ধার্থের বাড়ি দক্ষিণ মুম্বইয়ের মালাবার হিল এলাকায়।
নিখোঁজ ব্যাঙ্ক কর্তার পরিবার জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ অফিস থেকে বেরিয়ে তিনি বাড়িতে ফোন করেন। রাত আটটার পর থেকেই তাঁর ফোন ‘নট রিচেবল’ হয়ে যায়। বার বার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন বাড়ির লোকজন। রাত দশটার পরেও সিদ্ধার্থ বাড়ি না ফিরলে জোসি মার্গ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর পরিবারের লোকজন।
জোসি মার্গ থানার শীর্ষ আধিকারিক রবীন্দ্র শিসভে জানান ব্যাঙ্ক কর্তার খোঁজ পেতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার নভি মুম্বইয়ের একটি বহুতলের সামনে তাঁর গাড়ি পড়ে থাকতে দেখেন তদন্তকারীরা। গাড়ির গায়ে লেগে ছিল রক্ত।
২০০৭ সালে এইচডিএফসি-তে যোগ দেন সিদ্ধার্থ। কয়েক বছরে মধ্যেই ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ পান তিনি। তাঁর কাজের যথেষ্ট সুনামও রয়েছে অফিসে। সিদ্ধার্থের এক আত্মীয় বলেছেন, “বাড়ি এবং চাকরিই ছিল তাঁর প্রাণ। বাড়ির সময়টুকু ছাড়া অফিসের কাজ নিয়েই থাকত সে।”
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, পেশাগত হিংসার কারণেই অপহরণ খুন করা হতে পারে সিদ্ধার্থকে। এই কাজে সুপারি দেওয়া হয় ঠিকা মজুর সারফারাজকে। তবে, আসল মাথা কে সেটাই এখন বার করার চেষ্টা করছেন অফিসারেরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*