নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ২২ জন যাত্রীরই মৃত্যুর আশঙ্কা করছে সেনাবাহিনী। যাদের মধ্যে রয়েছেন মুম্বইয়ের চার জন। তারা এয়ারের পক্ষ থেকে ওই বিমানে থাকা যাত্রীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী নিখোঁজ বিমানটির চার ভারতীয় যাত্রী হলেন- অশোক কুমার ত্রিপাঠী, ধনুশ ত্রিপাঠী, ঋত্বিকা ত্রিপাঠী এবং বৈভবী ত্রিপাঠী। পোখরা বিমানবন্দরের তথ্য কর্মকর্তা দেবরাজ অধিকারী জানান, বিমানটিতে তিন সদস্যের ক্রু-এর নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন প্রভাকর প্রসাদ ঘিমিরে। কো-পাইলট হিসেবে ছিলেন উৎসব পোখরেল। ওই বিমানেই এয়ার হস্টেস ছিলেন কিসমি থাপা।
তারা এয়ার সংস্থা সূত্রে খবর, ওই ২২ জন যাত্রীর মধ্যে ছিলেন দুজন জার্মান নাগরিক, চারজন ভারতীয় এবং বাকি সবাই নেপালি। ভেঙে পড়া বিমানের খোঁজ চালাতে হেলিকপ্টার পাঠানো হলেও ঘটনাস্থলে যেতেই পারছে না সেনাবাহিনী। খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টার নামানো যাচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর।
রবিবার সকালে নেপালের আকাশ থেকে উধাও হয়ে যায় তারা এয়ারের 9 NAET টুইন ইঞ্জিন বিমান। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের পর আর খোঁজ মেলেনি বিমানটির। জানা গিয়েছে, ওই বিমানে ৪ ভারতীয়-সহ মোট ২২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্যরা রয়েছেন। পোখরা থেকে জমসম যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় বিমানটি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সেনার উদ্ধারকারী বিমান পাঠানো হয়। মন্ত্রকের মুখপাত্র ফণীন্দ্র মণি পোখারেল জানান, দু’টি হেলিকপ্টার মুস্তাঙ্গ ও পোখরা থেকে পাঠানো হয়েছে নিখোঁজ বিমানটির সন্ধানে। পাশাপাশি নেপাল সেনার চপারও বিমানটির খোঁজে অভিযান শুরু করে।
এরপরই ওই বিমানটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান উদ্ধারকারী দলের সেনা। সূত্রের খবর, মুস্তাঙ্গ জেলার কোওয়াং এলাকায় পাওয়া গিয়েছে বিমানটি। সেনাবাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, দুর্গম এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণেই লামচে নদীর মুখে ভেঙে পড়ে যায় ওই বিমান। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, উদ্ধারকারী বিমান এখনও পৌঁছতে পারেনি সেখানে। পায়ে হেঁটে সেখানে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে বলে খবর।
Be the first to comment