পুরনো সংসদ ভবনকে বিদায় জানিয়ে মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন শুরু হচ্ছে। দুপুরেই প্রথমবার নতুন সংসদ ভবনে বসবে অধিবেশন।
পুরনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে আজ শেষবারের জন্য ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণের শুরুতেই পুরনো সংসদ ভবনের স্মৃতিচারণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ৩৭০ ধারা, ৩৭৭ ধারা বাতিলের প্রসঙ্গও টানেন। বলেন, “মুসলিম-মা-বোনেরা বিচার পেয়েছেন এই ভবনে। রদ হয়েছে তিন তালাক। রূপান্তরকামীরা ন্যায় পেয়েছেন। ৩৭৭ ধারা রদ করা হয়েছে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করা হয়েছে। এমন অনেক কিছু হয়েছে এই ভবনে।”
তিনি বলেন, “নতুন সংসদ ভবনের হাত ধরে নতুন ভবিষ্যতের সূচনা হল।” আত্মনির্ভর হওয়ার বার্তা দেন মোদী। বলেন, “ভারতের সংকল্প পূরণ করতে আত্মনির্ভর হতে হবে আমাদের। আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান। কৃষিতে আত্মনির্ভর হতে হবে। দেশের যুবশক্তির প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে।”
বিশ্বের মধ্য়ে ভারতের অর্থনীতি তিন নম্বরে থাকবে, আত্মবিশ্বাস মোদীর কণ্ঠে। বলেন, “বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় অর্থ ব্যবস্থায় ভারতের অর্থনীতি পরিণত হবে। ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থব্যবস্থায় ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে। শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় অর্থ ব্যবস্থায় ভারত পরিণত হবে।”
চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের কথাও উঠে আসে মোদীর বক্তব্যে। বলেন, “চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর দেশের যুবকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে বিজ্ঞান নিয়ে। আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে এগোতে হবে।”
মোদী বলেন, “১০০০ বছরের মধ্যে ভারত উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। ছোট ক্যানভাসে কি বড় চিত্র বানানো যায় কি ? ভাবনার ক্যানভাসকে বাড়াতে হবে নয়তো উজ্জ্বল ভারত গড়ে উঠবে না। নতুন আগলে নিতে পুরনো ক্ষুদ্র চিন্তাভাবনা ঝেড়ে ফেলতে হবে। সামাজিক ন্যায় আমাদের প্রাথমিক শর্ত গরিবদের ঘর পর্যন্ত পৌঁছে তাঁদের সুযোগ সুবিধাগুলি মেটালে তা হবে সামাজিক ন্য়ায়ের মজবুতি।”
শেষে বলেন, “নতুন সংসদ ভবনে আমরা সবাই মিলে নতুন ভবিষ্যতের শ্রীগণেশ করতে চলেছি। আমরা এখানে আরও একবার দীক্ষিত ভারতের সংকল্প গ্রহণ, সেটা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে নতুন ভবনে প্রবেশ করছি। পুরনো সংসদ ভবনের নাম হতে চলেছে সংবিধান সদন।
Be the first to comment