রাজস্থানের উদয়পুরে যুবকের মাথা কেটে নেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় দেশ। এরইমাঝে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হল এনআইএ-কে। এর নেপথ্যে কোনও নাশকতার ছক থাকতে পারে এই অনুমান করে ঘটনার তদন্তে নামল এনআইএ। এমনকী এই ঘটনায় কোনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন যুক্ত রয়েছে কি না, তা তদন্ত করার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম রফিক মোহম্মদ এবং আব্দুল জব্বর।
মঙ্গলবার উদয়পুরের এসপি জনান, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হছে। এদিন ওই ঘটনার পরই উদয়পুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জেলার বেশ কিছু এলাকায় কার্ফুর পাশাপাশি উদয়পুর শহরে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য গোটা জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি রাজ্যের মানুষকে শান্ত ও সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে ওই ভিডিয়োটি শেয়ার না করতেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজস্থানের উদয়পুরে ধর্মীয় উন্মাদনার শিকার এক দর্জি। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বর মন্তব্যকে সমর্থন করায় উদয়পুরের কানহাইয়া লাল নামে দর্জিকে নৃশংস খুনের ঘটনায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। সর্বত্র সমালোচনা হচ্ছে তা নিয়েই।
কানহাইয়ার মুণ্ডচ্ছেদ করার পর একটি ভিডিও পোস্ট করে আততায়ী মহম্মদ রিয়াজ এবং ঘাউস মহম্মদ। সেই ভিডিওতে কানহাইয়ার শিরশ্ছেদের দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নূপুর শর্মাকেও খুনের হুমকি দেয় তারা। তারপরই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। খুনের ঘটনার পর উদয়পুরে ব্যাপক বিক্ষোভ-ভাঙচুর হয়। বিক্ষুব্ধরা অগ্নিসংযোগ করে খুনের প্রতিবাদ করে।
গোটা রাজস্থানে এক মাসের জন্য বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। অশান্তি এড়াতে গতকালই গোটা রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। উদয়পুর শহরে বড় অংশে জারি হয় কারফিউ। এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন।
Be the first to comment