পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে প্রায় ১১,৩০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ। অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী, তাঁর স্ত্রী অমি, ভাই নীশল ও আত্মীয় মেহুল চকসি। প্রতারণার অঙ্ক ব্যাঙ্কের মোট পুঁজির এক তৃতীয়াংশ বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই কেলেঙ্কারি?
জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে হংকং থেকে হিরে আমদানির পরিকল্পনা ছিল ব্যবসায়ী নীরব মোদীর। নিয়মকানুন না মেনেই মুম্বইয়ের পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কের ব্র্যাডি হাউস শাখা থেকে ঋণের গ্যারান্টি হাতিয়ে নেওয়া হয়। পিএনবির দুই কর্তা ও কয়েকজন কর্মচারী পিএনবি থেকে লেটার অব আন্ডারটেকিং যোগাড় করে নীরব মোদীর সংস্থা। এক্ষেত্রে ঋণের টাকা মেটানো না হলে তার দায়িত্ব ব্যাঙ্কের।
প্রসঙ্গত, গত মাসে এই বিষয়টি পিএনবি-র নজরে আসে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা, কেলেঙ্কারির অঙ্ক প্রায় ২৮০ কোটি টাকা। কিন্তু মঙ্গলবার পিএনবি জানিয়েছে,প্রায় সাড়ে এগারো হাজার কোটি টাকা চোট গেছে তাদের। জানা গিয়েছে, এবছর জানুয়ারি মাসে বিদেশ থেকে হিরে কেনার জন্য ফের পিএনবির দ্বারস্থ হয় নীরব মোদীর সংস্থা। নগদ বন্ধক সহ ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় নথি পেশের দাবি করে পিএনবি। কিন্তু নীরব মোদীর সংস্থা জানায়, অতীতে নগদ বন্ধক ছাড়া ঋণ আগেও পেয়েছে তারা। তখনই টনক নড়ে পিএনবি-র। তদন্তে উঠে আসে মুম্বইে ব্যাঙ্কের ব্র্যাডি হাউস শাখার দুই কর্তা গোকুলনাথ শেট্টি ও মনোজ খারাটের নাম। বিশাল অঙ্কের প্রতারণার শিকার হওয়ার পর একটি চিঠিতে অন্যান্য ব্যাঙ্ককেও সাবধান করেছে পিএনবি।
পিএনবি-র ঋণের গ্যারান্টির সাহায্যে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক থেকেও ঋণ নিয়েছে নীরব মোদির সংস্থা। এই কেলেঙ্কারির কথা অঙ্ক সামনে আসতেই ধস নেমেছে পিএনবি-র শেয়ারে। পিএনবি কেলেঙ্কারিতে নীরব মোদি ছাড়াও নাম জড়িয়েছে তাঁর স্ত্রী অমি, ভাই নীশল এবং আত্মীয় মেহুল চকসির। সোশাল মিডিয়ায় দিনভর তাই নীরব মোদি, ললিত মোদী আর বিজয় মালিয়ার তুলনা টানা হল।
বৃহস্পতিবার নীরব মোদীর ঘটনায় টুইট করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন রাহুল বলেন, ভারতকে লোটার পথ দেখিয়েছেন নীরব মোদী।
Be the first to comment