রবিবার সকালে ‘মহাগঠবন্ধন’ জোটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বিকেলে সেই নীতীশ কুমারই আবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন। সমর্থন দিল বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে ‘খেলা এখনও বাকি’ আছে, প্রতিক্রিয়া সদ্য ভেঙে যাওয়া সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। বিগত কয়েক দিন ধরেই নীতীশের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ দানা বাধছিল বিহার তথা জাতীয় রাজনীতিতে। এদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ। তাঁর শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা প্রমুখ। নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিজেপির সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় সিং।
নীতীশ যে আবার এনডিএতে ফিরতে পারেন, সেই জল্পনা ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছিল। নীতীশকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু কিছুই কাজে আসেনি। নীতীশ সেই ফিরেছেন বিজেপির কাছেই। বিহারে পুনর্গঠিত এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি শপথও নিয়ে ফেললেন রবিবার বিকেলেই। ফলে একে বড়সড় ধাক্কা খেল ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক। লোকসভা ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এমনিতে ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের টানাপড়েন চরমে। তার মধ্যেই লোকসভার আগে নীতীশের ইস্তফা এবং বিজেপির সমর্থন নিয়ে একই দিনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথে বিরোধীদের ইন্ডিয়া ব্লক বড় ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, জোট ছেড়ে নীতীশের বেরিয়ে যাওয়ায় ইন্ডিয়ার ক্ষতি তো হবেই না, বরং লাভ হবে। তাঁর এই জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াতে বিহারে লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট ভাল ফলই করবে বলেও মনে করেন তৃণমূল নেত্রী। এ দিকে নীতীশের দলের তরফে জোট ভাঙার কারণ হিসাবে নতুন একটি তত্ত্ব তুলে ধরা হচ্ছে। নীতীশের দল জেডিইউয়ের নেতা কেসি ত্যাগী বলছেন, ‘‘প্রথম থেকেই ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্বের দখল নিতে চেয়েছে কংগ্রেস। এ ব্যাপারে তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে পড়েছিল যে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে ষড়যন্ত্র করে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের নাম বলিয়ে নেয় তারা। আর সেই কাজ কংগ্রেস করিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে।’’
Be the first to comment