CBI অফিস লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, চরমে উত্তেজনা

Spread the love

নিজাম প্যালেসে CBI-এর আঞ্চলিক সদর দফতরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হল দুপুর থেকে। কার্যত রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। সেখানে হাজির ছিলেন একাধিক বিধায়ক। ব্য়ারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টাও চালানো হয়। চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

সকাল থেকেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি ছিল নিজাম প্যালেসে।চারজনের গ্রেফতারের পরেই সেখানে বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মদন মিত্রেরও অনুগামীরা নিজাম প্যালেসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানো হয় সেখানে। একাধিক তৃণমূল নেতারাও নিজাম প্যালেসে যান। ১০টা ৪৮ এ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আরও ভিড় বাড়তে থাকে। চলে বিক্ষোভও। এদিন দুপুর ১২ টার পরে রাস্তায় তৃণমূল কর্মীরা বসে পড়েন। ক্ষোভ বাড়তে থাকে আরও। পোস্টার ব্যানার নিয়ে হাজির হন অনেকে।

সোমবার সকালেই নারদ মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করে CBI। সোমবার সকালে প্রথমে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছন CBI গোয়েন্দারা। বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরই তাঁকে বাইরে নিয়ে আসা হয়। তিনি নিজে জানান, নারদা কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। একইসঙ্গে নিজাম প্যালেসে CBI দফতরে নিয়ে আসা হয় বিধায়ক মদন মিত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। নিয়ে আসা হয় রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। চারজনকে গ্রেফতার করা হয় CBI।

বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোনওরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি তাঁর থেকে। জানা গিয়েছে, আজই চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা থেকে CBI। এদিনই আদালতে তোলা হবে তাঁদের। আদালতে পেশ করে CBI চারজনকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানাবে। ইতিমধ্যেই চারজনের আইনজীবী পৌঁছে গিয়েছেন নিজাম প্যালেস চত্বরে। পৌঁছেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ও। জানা গিয়েছে, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার এবং এস এম এইচ মির্জার বিরুদ্ধেও চার্জশিট গঠন করতে চলেছে CBI।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*