রোজদিন ডেস্ক :– মুম্বই থেকে ম্যানচেস্টারগামী বিমানের সফরের মাঝে কুয়েত বিমানবন্দরে ১৩ ঘণ্টা আটকে ছিলেন ভারতীয় যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, ‘কোনও খাবার, কোনও সাহায্য ছাড়া’ তাঁরা সেখানে আটকে পড়েন। এভাবে ১৩ ঘণ্টা আটকে পড়ে, তাঁরা বিক্ষভে শামিল হন। গোটা ঘটনা টুইট করে তাঁরা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাহায্য চান।
গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। দেখা গিয়েছে, গাল্ফ এয়ারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওই যাত্রীরা বচসায় লিপ্ত হয়েছেন। যদিও সেই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি রোজদিন। একটি টুইটে এক যাত্রী বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তিনি বলছেন, ওই বিমানের সমস্ত যাত্রীরা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ওই নেটিজেনের দাবি, শুধু ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রীদেরই ‘অ্যাকোমোডেশন’ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সেই সুবিধা শুধু ওই যাত্রীরাই পেয়েছেন। কেন এমন দ্বিচারিতা ভারতীয় যাত্রীদের সঙ্গে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যাত্রীরা বলছেন, কুয়েতে নামার আগে বিমান ‘ইউ টার্ন’ নিয়েছিল। বিমান যে নির্দিষ্ট পথের বাইরে যাচ্ছে, তা বিমান অবতরণের ২০ মিনিট পরে জানানো হয়েছে। এমনকি অভিযোগ রয়েছে, এই বিমানের একটি ইঞ্জিনে আগুনও ধরে যায়। গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কী ঘটেছে ওই বিমানবন্দরে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি গাল্ফ এয়ার। ভারতীয় সময় রবিবার রাত ১১ টা পর্যন্তও কোনও তথ্য আসেনি গাল্ফ এয়ারের তরফে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, আরজু সিং নামে এক যাত্রী জানিয়েছেন, তিনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে লাউঞ্জ অ্যাকসেস চেয়েছিলেন, তবে তা পাননি। আরজু সিং বলেন,’ 1১৩ ঘন্টার বেশি হয়েছে। প্রায় ৬০ জন যাত্রী রয়েছেন। আমরা সম্ভব হলে লাউঞ্জ অ্যাক্সেসের জন্য বলেছিলাম, তাঁরা আমাদের জবাব দেননি। তাঁরা সকাল থেকে আমাদের বলছেন, প্রতি তিন ঘণ্টা পর, যে আমরা ফিরে যাচ্ছি।’ ভারতীয় যাত্রীরা এই বিষয়ে টুইচ করে এস জয়শঙ্করের নেতৃত্বাধীন বিদেশমন্ত্রকের সাহায্য প্রার্থনা করেন।
অন্যদিকে, খানিক পরই কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাস এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে। সেখানে জানানো হয়, গাল্ফ এয়ারের তরফে পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাস জানায়,’ দূতাবাসকে গলফ এয়ারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে কুয়েত থেকে ম্যানচেস্টারে আটকা পড়া যাত্রীদের জন্য ফ্লাইটটি ২ ডিসেম্বর সকাল ৩.৩০ টায় নির্ধারিত হয়েছে। এটি বিমানবন্দরে দূতাবাসের টিম সমস্ত যাত্রীদের জানিয়ে দিচ্ছে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘খাবার আর জল আটকে পড়া ভারতীয় যাত্রীদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে লাউঞ্জে।’
Be the first to comment