গত কয়েকদিন থেকেই শুরু হয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গ ও পাহাড় জুড়ে বৃষ্টিপাত। কয়েকদিন থেকেই ক্রমাগত কখনও ভারী, কখনও হালকা বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। এর ফলেই বুধবার ভোরে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে রংপো ও সিংথামের মাঝখানে ধস নামায় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যদিও সেনাবাহিনীর জওয়ানরা ধস সরানোর কাজে নেমেছেন। কিন্তু ধস সরানোর কাজে বাদ সাধছে বৃষ্টি। যে অংশে ধস নেমেছে, সেই অংশ থেকে মাঝে মাঝে এখনও পাথর গড়িয়ে পড়ছে। সম্পূর্ণভাবে পাথর পড়া বন্ধ হলে এবং বৃষ্টি কমলেই পাথর সরিয়ে রাস্তাটি পুনরায় যানবাহন চলাচলের যোগ্য করে তোলা যাবে বলে সেনাবাহিনীর সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
টানা কয়েকদিন ধরে ডুয়ার্সেও চলছে অবিরাম বৃষ্টি। এরইমধ্যে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ডুয়ার্সবাসীর। এর মধ্যেই আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। পাহাড় ও ডুয়ার্সে অতিভারী বর্ষণের ফলে পার্বত্য এলাকায় ধস নামার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে ডুয়ার্সের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদীগুলোতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। ইতিমধ্যে ডুয়ার্সের জলঢাকা, মূর্তি, কুর্তি, ডুডুয়া, ডায়না সব নদী কানায় কানায় ভর্তি। দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষজন।
রাতভর মুষলধারে বৃষ্টি এসে সুখানী নদীর জল বেড়ে সুখানী সেতুর সংযোগকারী রাস্তা ভেসে গিয়ে বুধবার সকাল থেকে ফের মনমোহন ধুরার সঙ্গে নাগরাকাটার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। এ ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার বহু বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টি এসে ফের ফুলেফেঁপে ওঠে এই নদী, জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে গেল সংযোগকারী রাস্তা।
Be the first to comment