রোজদিন ডেস্ক,কলকাতা :– আরজি করের নির্যাতিতাকে ধর্ষণ ও খুনের ক্রাইম সিন ওই হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম নয়। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপোর্ট। নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্তের ধস্তাধস্তির চিহ্ন বা প্রয়োজনীয় প্রমাণ সেমিনার রুমের ঘটনাস্থলে মেলেনি উল্লেখ সিএফএসএলের রিপোর্টে।
আর জি কর-কাণ্ডে ১২ পাতার সিএফএসএলের রিপোর্টে নতুন করে সন্দেহ। যে ম্যাট্রেসে পাওয়া গিয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ সেখানে ধর্ষণ খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন মেলেনি। এনিয়েই সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে সিএফএসএল রিপোর্টে। সেমিনার রুমে প্রতিরোধের বা ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই। ‘পসিবল স্ট্রাগল’ যেখানে হওয়ার কথা ছিল, সেখানেই তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র যে ম্যাট্রেসে তথ্যপ্রমাণ নেই তাই নয়, সেমিনার হলের ওই সংলগ্ন এলাকাতেও কোনও ধস্তাধস্তির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর তাতেই উঠছে প্রশ্ন। সংশয়টা এখানেই, এতদিন সকলে আর জি কর কাণ্ডে যে জায়গাকে ‘ক্রাইম সিন’ বলে জেনে এসেছিলেন সেই চিন্তাভাবনাই বদলে দিচ্ছে পি কে মহাপাত্রর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের তৈরি এই সিএফএসএল রিপোর্ট।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ আগষ্ট আরজি করের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় কর্তব্যরত এক মহিলা তরুণী চিকিৎসকের দেহ। খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু সোমবারের এই সিএফএসএলের রিপোর্ট সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে অপরাধ কি অন্য কোথাও করা হয়েছিল? তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে এই ঘটনার সঙ্গে সঞ্জয় ছাড়া আর কে কে জড়িত ছিল? কা কে বা কাদেরকে আড়াল করতে ক্রাইম সিন বদল করা হল? এ রকমই একাধিক প্রশ্ন উঠছে সকলের মনেই।
Be the first to comment