মহারাষ্ট্রে ‘মহা’ সংকটে মহা বিকাশ আগাড়ি। শিব সেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিণ্ডে নিজের অনুগামী বেশ কিছু বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে গুজরাটের সুরাটে গিয়ে সেখানকার একটি হোটেলে ওঠেন। সেখান থেকে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন গুয়াহাটিতে। তাঁদের স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের গেরুয়া নেতারা। ফলে শিণ্ডে ও বাকিদের বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে শিণ্ডে কিন্তু অন্য কথাই বলছেন। তাঁর দলের বাকিরা মুখে কুলুপ আঁটলেও তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিব সেনার হাত তাঁরা ছাড়ছেন না।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাঁর কথায়, ”আমরা বালাসাহেব ঠাকরের শিব সেনা ত্যাগ করিনি। করবও না। সব মিলিয়ে ৪০ জন শিব সেনা বিধায়ক রয়েছেন এখানে। আমরা বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথ অনুসরণ করে সেটাকেই এগিয়ে নিয়ে যাব। ” কিন্তু তাহলে তাঁরা কেন মহারাষ্ট্র ছেড়ে বিজেপি শাসিত অসমে? এপ্রসঙ্গে শিণ্ডের দাবি, এটা নেহাতই বেড়াতে আসা ছাড়া আর কিছু নয়।
কিন্তু শিণ্ডে এমন কথা বললেও গুয়াহাটি বিমান বন্দরে উপস্থিত দুই বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে তাঁদের করমর্দনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শিণ্ডে ও তাঁর অনুগামীরা ঠিক কী চাইছেন, তা জানতে এখনও অপেক্ষা করতেই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেরই মতে, ‘নাটক’ এখনও অনেক বাকি রয়েছে।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুর একটার সময় একটি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেই বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রিসভার সব সদস্যকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। মনে করা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে এই বৈঠকে।
সোমবার মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একনাথ শিণ্ডে নিজের অনুগামী বেশ কিছু বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সুরাটের একটি হোটেলে ওঠেন। শিণ্ডে শিব সেনার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে একজন। সূত্রের খবর, দলে তাঁর গুরুত্ব কমে যাওয়া নিয়ে বহুদিন ধরে অসন্তুষ্ট ছিলেন থানের ‘স্ট্রংম্যান।’ সঞ্জয় রাউতের গুরুত্ব বাড়াটাও তাঁর গোঁসা করার অন্যতম কারণ। এখন দেখার, পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়।
Be the first to comment