রোজদিন ডেস্ক :- আগস্ট মাসে গণঅভ্যুথানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ায় পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হয়েছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। সোমবার বিজয় দিবসে ভাষণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ইউনুস জানিয়ে দিলেন কবে হবে দেশের সাধারণ নির্বাচন।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের শেষে কিংবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে হতে পারে বাংলাদেশের নির্বাচন। সোমবার বিজয় দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি।
আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। তারপর থেকে সেদেশের নির্বাচন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এবার সেই জল্পনার অবসান হল। ইউনুস জানান, ‘দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার পর ও কোনও সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে পর্যালোচনার পর নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে।’
গণঅভ্যুথানের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর উঠে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। দেশের রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার মধ্যে একাধিকবার সাধারণ নির্বাচনের দাবি তোলে খালেদা জিয়ার দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি)। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য কতদিন প্রয়োজন? মহম্মদ ইউনুসকে সরাসরি সেই প্রশ্নও করেন খালেদা পুত্র তথা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এদিন ইউনুস জানান, রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি একাধিকবার সকলকে অনুরোধ করেছেন। তাঁর কথায়, “রাজনৈতিক ঐক্যমত, ছোট ছোট সংস্কার-সহ ত্রুটিহীন ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে সাধারণ নির্বাচন করা হলে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। তারপরই চূড়ান্ত নির্ঘণ্ট জানানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত সংস্কার কিংবা নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন করতে হলে আরও অন্তত ৬ মাস সময় লাগবে ৷”
বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের পর ব্যাপক রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। আগামী নির্বাচনে কয়েক লক্ষ প্রথম ভোটারও রয়েছেন। ইউনুস বলেন, “এই মুহূর্তে দেশের সরকার গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তরুণ প্রজন্মকে। ইতিমধ্যেই তাঁরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তাঁদের কাঁধে অনেক দায়িত্ব।” ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সুযোগ কেউ পায়নি। ফলে, সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করে তবেই সাধারণ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা সম্ভব।
Be the first to comment