দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেলাগাম সংক্রমণ বাংলাতেও। রোজই হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের মধ্যে কলকাতাতেও সংক্রমণের তীব্রতা ক্রমশ চোখরাঙাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের সংকট নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। শহরে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে। এই আবহে এবার নয়া উদ্যোগ নিল চেতলা অগ্রণী ক্লাব। অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে এবার দুয়ারে অক্সিজেন পরিষেবা শুরু হল শহরে। বিনামূল্যে বাড়ি বাড়ি অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হবে।
চেতলা অগ্রণী ক্লাবের উদ্যোগে শহরে চালু হল দুয়ারে অক্সিজেন পরিষেবা। এই পরিষেবার উদ্যোগ করেন ক্লাবের সভাপতি ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আপাতত ২০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর জোগাড় করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে পরিষেবা দেবেন চেতলা অগ্রণী ক্লাবের সদস্যরা। আগামী দিনে অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ।
এদিকে, রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রথমবার শঙ্কা আরও বাড়িয়ে রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারেরও বেশি।গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২০ হাজার ১৩৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৭৩। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৯৪ জন। রাজ্যে বর্তমানে সুস্থতার হার ৮৬.৪২ শতাংশ। রাজ্যে ১১ মে পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ জন, মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৫৯৩ জন।
অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কী?
এটি একটি যন্ত্র যার সাহায্যে পরিবেশ থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করা হয়। তার পর নলের মাধ্যমে রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া যায়। অক্সিজেন সিলিন্ডার না থাকলে বিকল্প হিসেবে এই যন্ত্রকে কাজে লাগানো যেতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে দেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতি হচ্ছে, তাতে এই যন্ত্রের জুরি মেলা ভার। ২০১৫ সালে WHO-এর এক রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, টানা অপারেশনের জন্য এই যন্ত্র কাজে লাগে। একদিনে ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন দিতে পারে এই যন্ত্র।
Be the first to comment