আর্থিক সংকট চরম আকার নিয়েছে পাকিস্তান। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে খাবার জোটাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে নাগরিকদের এরই মাঝে বিনামূল্যের খাবার নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১১ জনের। তাদের মধ্যে রয়েছে দুই মহিলা ও শিশু। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো ৬০ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিনামূল্য আটা-ময়লা বিলির সময় নাগরিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেই সময় পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ১১ বাসিন্দা। এরমধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। পাকিস্তান সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত কয়েকদিনে দক্ষিণ পঞ্জাবের চারটি জেলায় আটা-ময়দা বিলির লাইনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সাহিওয়াল, ভাহাওয়ালপুর, মুজাফফরগড় ছাড়াও ফয়সালাবাদ, জাহানিয়ান এবং মুলতান থেকেও পদপিষ্ট হওয়ার খবর এসেছে। উল্লেখ্য গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট ভয়াবহ আকার নিয়েছে মূল্য বৃদ্ধি এতটাই গুরুতর আকার নিয়েছে যে সাধারণ মানুষের অন্ন সংকুলানই এখন সরকারের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। বিনামূল্যে মৃত্যু ঠেকাতে সরকারের তরফে আটা-ময়দা বিলি করা হচ্ছে। আর সেখানেই ঘটছে এমন দুর্ঘটনা।
এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির জোট সরকারের চরম অপদার্থতাই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। অন্যদিক, সমস্যা এড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে পঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী মহসিন রাজা নকভি জানিয়েছেন, পদপিষ্টের মতো ঘটনা এড়াতে আটা-ময়লা বিলি কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া, আগামী মাসে ভোর ৬টা থেকে খাদ্যদ্রব্য বিলি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment