পুনর্নির্বাচনের পর মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হতে চলেছে ভোট গণনা। রাজ্যে মোট গণনাকেন্দ্র ৩৩৯টি। প্রতি কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রয়েছে এক কোম্পানি অর্থ্যাৎ মোট ৮২ জন সক্রিয় সদস্য থাকবে গণনা কেন্দ্রে। সঙ্গে থাকছে রাজ্য পুলিশও। গণনাকেন্দ্রে ভেতরে ও বাইরে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরাও।সবমিলিয়ে বলা ভালো ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩৩৯টি ভোটগণনা কেন্দ্রে স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। ৩০,৩৯৬টি টেবিলে চলবে গণনা। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার মধ্যে চলবে গণনা।পাশাপাশি, গণনা কেন্দ্রের বাইরে রয়েছে ১৪৪ ধারা।
রাজ্যের দশম পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের ক্ষেত্রে প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি ও সবশেষে জেলা পরিষদের ভোট গণনা হবে।প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই ২ রাউন্ড করে গণনা হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের গণনার সময় থাকবেন একজন কাউন্টিং অফিসার এবং একজন কাউন্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট। সঙ্গে থাকবেন প্রতি প্রার্থীর একজন করে কাউন্টিং এজেন্ট ।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটগণনা ৮ টা থেকে শুরু হলেও ব্যালট পেপার শর্টিং শেষ করে মূল গণনার কাজ শুরু হতে ৯ টা বেজে যাবে। প্রথমে গণনা হবে ই ডি (ইলেকশন ডিউটি) ভোট। তারপর একে একে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ভোট গণনা। প্রত্যেক স্তরের ভোট গণনার শেষে ভোটকেন্দ্র থেকে সকলে বেরিয়ে গেলে তারপর শুরু হবে পরের স্তরের ভোটগণনা।
স্ট্রংরুম থেকে প্রথমে আনা হবে প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যালট বাক্স। গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ রাউন্ড হবে ভোট গণনা। যে গণনা শেষ হওয়ার পর স্ট্রংরুম থেকে আনা হবে পঞ্চায়েত সমিতির ব্যালট বাক্স। সেক্ষেত্রেও ২ রাউন্ড গণনার পর জেলা পরিষদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। মোট ৩৩৯ টি কেন্দ্রে হবে ভোটগণনা। যার মধ্যে সবথেকে বেশি কেন্দ্র রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ।
মঙ্গলবারের মধ্যেই গণনা শেষ হওয়ার কথা। যদি তা না হয়, তবে গণনার কাজ টানা চলবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। বাকি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন বিডিও। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্তরে দু’রাউন্ড করে গণনা হবে। কোথাও কোথাও তিন রাউন্ড। প্রতি গণনা কেন্দ্রের জন্য এক জন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। দার্জিলিং, কালিম্পং ছাড়া প্রতি জেলায় থাকবেন এক জন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক।
Be the first to comment