পানিহাটির মহোৎসবতলা ঘাটে দই-চিঁড়ের মেলায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বহু পুণ্যার্থী। রবিবারের পর সোমবারও থমথমে হয়ে রয়েছে ওই এলাকা। মোতায়েন রয়েছে পুলিস বাহিনী। পানিহাটি পুরসভা জানিয়েছে, এবছর সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি। করোনার কারণে গত দুবছর এই উৎসব করা যায়নি। তাই এবছর অত্যধিক ভিড় জমেছিল। তার উপর তীব্র গরমেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে পরের বছর উপযুক্ত ব্যবস্থা, পুলিসের নির্দেশ মেনেই এই মেলার আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মেলা উদ্যোক্তারা।
রবিবারই দই-চিঁড়ের মেলায় মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। টুইটে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পানিহাটির মহোৎসবতলা ঘাটে দই-চিঁড়ের মেলায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা ঘটে রবিবার দুপুরে। প্রশাসন ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ৫০ জন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ। মৃতরা হলেন সুভাষ পাল, শুক্লা পাল, ছায়ারানি দাস। পানিহাটি্র ৫০৬ বছরের এই ঐতিহ্যবাহী মেলায় নিহত তিনজনেরই বাড়ি পূর্বস্থলীর যজ্ঞেশ্বরপুর এলাকায়। রবিবারের এই দুর্ঘটনার পর বিকেলে যজ্ঞেশ্বরপুর এলাকায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের বিডিও সৌমিক বাগচি। তাঁরা কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে। আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেন।
Be the first to comment