পর্ণের কারণে বিগড়ে যাচ্ছে সমাজ। পর্ণের বিরুদ্ধে কড়া আইন দরকার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর হাত থেকে বাঁচাতে হবে। সেজন্য ছেলে-মেয়েদের বয়স ১৬ বছর হওয়ার আগে হস্টেলে পাঠানো উচিত নয়। একাধিক সমাজ সচেতনতামূলক প্রচারের লক্ষ্যে মধুবনি থেকে পাটনা পর্যন্ত পদযাত্রা করছেন জন অধিকার পার্টির নেতা পাপ্পু যাদব। গতকাল সেই পদযাত্রা পৌঁছায় দ্বারভাঙায়। সেখানে একথা বলেন পাপ্পু যাদব। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিহার সরকারের একাধিক নীতির বিরোধিতা করে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
পাপ্পু যাদব বলেন, নির্ভয়াকাণ্ডের পর দেশের সরকার বদলে গেল। একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বদলে গেল। তারপরও অবস্থা বদলায়নি। বিহারে গণধর্ষণের মতো ঘটনা জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে সব জায়গায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। স্কুল, কলেজ, বাড়ি, পাড়া-মহল্লা, সর্বত্র। নেতারা এর সঙ্গে জড়িত। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে টাকা দিতে হয়। টাকা ছাড়া কিছুই হয় না। নেতা-মন্ত্রী, সাংসদ-বিধায়ক মিলিয়ে প্রায় ১৩০ জনের নামে অভিযোগ রয়েছে। অনেক বাবা জেলে রয়েছে। যারা জেলে নেই, তাদের মাথায় নেতাদের হাত রয়েছে। খুব কমসংখ্যক নেতা, বাবা ও সরকারি আধিকারিক আছে যারা এসবের সঙ্গে যুক্ত নেই।
দেশ ও বিহারের এই অবস্থার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের দায়ি করেন পাপ্পু যাদব। বলেন, দেশের সংস্কৃতির অবনতি হচ্ছে। গান, সিনেমা সর্বত্র যৌনতার ছড়াছড়ি। এর দ্বারা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে কু-প্রভাব পড়ছে। এসবের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে একহাত নেন পাপ্পু যাদব। তাঁর কথায়, “নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দোষী নন, এটা হতেই পারে না।”
সরকার ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাঁর অনেক শত্রু তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। পাপ্পু যাদব বলেন, তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। যেহেতু পয়সার বিনিময়ে তিনি নিজেকে বিক্রি করবেন না তাই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে। আগেও হয়েছে। তিনি এর আগেও ডাক্তার, এডুকেশন মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ভবিষ্যতেও করে যাবেন।
Be the first to comment