সম্প্রতি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন টলিউড তারকা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকের আগে মধ্যাহ্ন ভোজন সারলেন দুজনে। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে এই বৈঠককে কেন্দ্র করে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে, তাহলে কী পরমব্রত তৃণমূলে আসতে চলেছে। তবে এই প্রসঙ্গে অনুব্রত ও পরমব্রত কেউই কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এদিন পরমব্রতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানান, ‘আমি যা বলার প্রশাসনিক বৈঠকে বলব।’ এই প্রসঙ্গে টলিউড তারকা জানান, ‘এটা নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমি আমার ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলাম। রাজনীতি নিয়ে সবার মতামত থাকে। আমি ওঁর মতামত শুনলাম। আমারও কিছু ভাবনাচিন্তা রয়েছে। এইটুকুই।’ এদিন বোলপুরের সার্কিট হাউসে হাজির ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ গুহ। ঘণ্টাখানেকের এই বৈঠক হয়।
গত বিধানসভা ভোটের আগে টলিউড সিনেমা জগৎ থেকে অনেক তারকাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছিল। কেউ যোগ দিয়েছিল তৃণমূলে আবার কেউ কেউ যোগ দিয়েছিল বিজেপিতে। গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে অনেকেই বিধায়ক পর্যন্ত হয়ে গিয়েছেন।
রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, জুন মালিয়ারা এখন তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক পর্যন্ত হয়ে গিয়েছেন। বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই পরমব্রতকে নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে পরমব্রতকে নিয়ে প্রশংসা অনেক আগে থেকেই শোনা গিয়েছে। কিন্তু এখন কেন এই তারকা অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করলেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতুহলের শেষ নেই।
Be the first to comment