পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেঅআইনিভাবে নিয়োগ করার মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন পরেশ অধিকারী ৷ ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা এদিন অর্থাৎ বুধবার শোনেনি ৷
অভিযোগ, পরেশ অধিকারী রাজ্যের শাসক দলে যোগ দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের নাম ২০১৬ সালের স্কুল শিক্ষক নিয়োগের মেরিট (ওয়েটিং) লিস্টে যোগ হয়। দেখা যায় পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর মোট প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান জরুরি ভিত্তিতে অনলাইনে হাজির হয়ে জানিয়েছিলেন অঙ্কিতা অধিকারী পেয়েছে ৬১ (৩০ সাবজেক্ট এবং ৩১ অ্য়াকাডেমিক স্কোর) ৷ আর মামলাকারী ববিতা সরকারের নম্বর ছিল ৭৭ (সাবজেক্টে ৩৬, অ্য়াকাডেমিকে ৩৩ ও পার্সোন্য়ালিটি টেস্টে ৮)। এটা ছিল ওয়েটিং লিস্ট। এরমধ্যে থেকে ২০ জনের চাকরির সুপারিশ করা হয়েছিল। পরে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম লিস্টে যোগ করার কারণে ববিতা সরকার সুযোগ পাননি।
কারণ ববিতা সরকারের নাম প্রথমে ওয়েটিং লিস্টে ২০ নম্বরে থাকলেও অঙ্কিতা অধিকারীর নাম ঢোকানোর জন্য সেটা ২১ নম্বর হয়ে যায়। আর নিয়োগ করা হয় ২০ জনকে। এই মামলাতেই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
Be the first to comment