সংসদ চত্বরে ধরনা, বিক্ষোভ, অনশন চলবে না, নয়া ফতোয়া সরকারের

Spread the love

শব্দের পর এবার সংসদ চত্বরে ধরনা, বিক্ষোভ, অনশন, অবস্থানেও না। রাজ্যসভার সচিবালয় এ ব্যাপারে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। বুধবারই লোকসভার সচিবালয় বেশ কিছু শব্দকে অসংসদীয় বলে দাগিয়ে দিয়েছে। বল হয়েছে, ওই সব শব্দ সাংসদরা ব্যবহার করতে পারবেন না। যদিও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার দাবি, এটা নতুন কিছু নয়। এরকম নির্দেশিকা মাঝে মাঝেই দেওয়া হয়ে থাকে। এর প্রতিবাদে বিরোধীরা সরব হয়েছেন।

তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সংসদ চত্বরে ধরনা, অবস্থান, বিক্ষোভের উপরও কোপ পড়ল। এমনকি রাজ্যসভার সচিবালয় জানিয়েছে, সংসদ চত্বরে কোনও ধর্মীয় আচারণও পালন করা যাবে না। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল পি সি মোদি ওই নির্দেশিকা জারি করে সদস্যদের সহযোগিতা চেয়েছেন এ ব্যাপারে। বিরোধীরা এই নির্দেশিকারও তীব্র সমালোচনা করেছেন। 

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্যসভায় কংগ্রেসের চিফ হুইপ জয়রাম রমেশ টুইটে কড়া ভাষায় এই নির্দেশিকাকে আক্রমণ করেন। নিন্দা করেছে তৃণমূল, সিপিএমও। সংসদের ভিতরে এবং বাইরে বিক্ষোভ অবস্থান নতুন নয়। ইউপিএ জমানাতাও প্রায়ই তখনকার বিরোধী দল বিজেপি কথায় কথায় বিক্ষোভ করত। পরে বাইরে এসে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান করত সরকারি বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে। এনডিএ আমলে সংসদ চত্বরে সেই অবস্থান, ধরনার তীব্রতা বেড়েছে। সরকারের নানা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রায়ই বিরোধী সদস্যরা সংসদের ভিতরে বিক্ষোভের পাশাপাশি সংসদ চত্বরেও অবস্থান করে। কখনও কখনও সব বিরেধী দল একসঙ্গেও গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান, অনশন চালান।

কয়েক মাস আগে কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্যকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে কংগ্রেস লাগাতার ধরনা চালিয়েছিল গান্ধী মূর্তির সামনে। তাতে অন্য বিরোধী দলও শামিল হয়েছিল। বিরোধী নেতারা বলছেন, বিজেপি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোই ভেঙে ফেলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এগুলি তারই প্রমাণ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*