গত ১৯ এপ্রিল থেকে আলোচনার কেন্দ্রে আসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে জ্বলজ্বল করা তিন আংটি৷ ওই দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের ভার্চুয়াল শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার জিজ্ঞাসা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে কেন সোনার তিনটে আংটি রয়েছে? আইনজীবী দাবি করেন, এর থেকেই প্রমাণিত হয়, পার্থ কতটা প্রভাবশালী৷ কারণ, জেলে গয়না পরে থাকার অনুমতি থাকে না, অথচ, তিনি দিব্যি সেই অনুমতি পেয়েছেন৷ এমনটা হয় কী করে?
এরপরে ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। কিন্তু, তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় এডিজি (কারা)-র কাছ থেকে আংটি কাণ্ডের রিপোর্ট তলব করা হয়৷ আজ, ১৯ জুন সেই রিপোর্ট জমা দেয় এডিজি (কারা)। কিন্তু সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারিনি আদালত। কী আছে সেই রিপোর্টে? চোখ বুলিয়ে নিন এক ঝলক।
রিপোর্টে বলা হয়েছে,যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওজন ছিল ১১০ কেজি৷ আংটিগুলি হাতের আঙ্গুলের সঙ্গে এমন ভাবে আটকে ছিল যে অনেক চেষ্টা করেও তা খুলে ফেলা সম্ভব হয়নি। অথচ বিচারকের ভর্ৎসনা শোনার পর তিনটি আংটি খুলে ফেলেছিলেন পার্থ! এ বিষয়ে রিপোর্টে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, জেলের ভাত খেয়ে নাকি অনেকটাই রোগা হয়ে গিয়েছেন পার্থ! সেই কারণেই নাকি সম্ভব হয়েছে ‘আংটি রহস্যের সমাধান’৷
Be the first to comment