পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ প্রয়াত? শুক্রবার পাকিস্তানের ওয়াক্ত নিউজের এক খবর ঘিরে জল্পনা শুরু হয়। প্রথমে প্রথম শ্রেনির একাধিক সংবাদমাধ্যম প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর খবর জানালেও কিছু মুহূর্ত বাদে পিছিয়ে আসে। বেশ কিছু প্রবীণ সাংবাদিক মোশারফের মৃত্যুর খবর সঠিক নয় বলেই মন্তব্য করেছেন।
পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনানায়ক থেকে দেশের সর্বোচ্চ আসনে বসেছিলেন মোশারফ। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে স্বেচ্ছার নির্বাসনে ছিলেন ৭৮ বছর বয়সি প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট। এদিন সকালে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় দুবাইয়ের আমেরিকান হসপিটালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। একথা সত্যি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ পারভেজ। প্রথমে লন্ডন পরে দুবাইতে এনে তাঁর চিকিৎসা করা হয়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা গিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিদেশে থাকা তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা বিমানে দুবাই পৌঁছে যান। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯-২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেছেন মোশারফ। ভারতের কাছে কার্গিল যুদ্ধে গো-হারা হওয়ার পর তাঁর কর্তৃত্ব কমতে থাকে সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের অভ্যন্তরে।
গোঁড়া মৌলবাদীদের পছন্দের সেনানায়ক হিসেবে পাক-বাহিনী ও চর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রিয় পাত্র ছিলেন পারভেজ মোশারফ। সেই হিসেবে মোশারফের পূর্বসুরি নওয়াজ শরিফ বিরোধী পালে বাতাস দেওয়ার কাজে তাঁর সহায়তা ছিল। বিশেষ কাজে শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরার সময়ে আকাশপথেই অহিংস সেনা অভ্যুত্থান ঘটান তৎকালীন সেনা প্রধান পারভেজ। তারপর থেকেই একের পর এক ভারতবিরোধী পদক্ষেপে দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কিন্তু বাজপেয়ি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের আমলে কার্গিল দখল করতে গিয়েই হাত পোড়ে পারভেজের। লজ্জাজনক পরাজয়ের পর প্রাণ ভয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।
এরপর পারভেজের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্তও করা হয়। কিন্তু তিনি আর কখনও পাক মাটিতে পা রাখেননি। মৃত্যুও হল বিদেশেই।
Be the first to comment