৫ জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ দিয়ে শুরু হল বঙ্গে ভোট। আর সেই ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই পাওয়া যাচ্ছে অশান্তির আঁচ। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে অশান্তি। যদিও ভোটগ্রহণের আগের রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, এগরার মতো বিধানসভা কেন্দ্র।
ভোটের আগের রাতে পটাশপুর দু নম্বর ব্লক এলাকার সাতসতমাল এলাকায় গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন পটাশপুর থানার ওসি ও কয়েকজন অফিসার-কর্মী। সেখানেই আক্রান্ত হন তাঁরা। ওসি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক সদস্য সহ আহত বেশ কয়েকজন পুলিশ। তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। আহত ওসিকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে রেফার করা হচ্ছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। ইতিমধ্যেই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় ওসির মুখ আর চোয়ালে বোমের আঘাত লেগেছে। রাতে টহল দেওয়ার সময় পটাশপুর থানার সাতসতমালে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। তখনই আহত হন ওসি ও এক আধা সেনা জওয়ান। গতকাল গভীর রাতে রাইপুর অঞ্চলের ১৫০ নম্বর সিরিয়া বুথে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এদিকে, ওই জেলারই এগরায় রাতভর বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এমনকী এগরার তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, ওই এলাকার বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতীদের জড়ো করেছে বিজেপি। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভার ক্ষেত্রমোহন বিদ্যাভবনে চারটি বুথের মধ্যে তিনটি বুথেরই ইভিএম বিকল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে সকাল থেকে লম্বা লাইন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে। এরই মধ্যে ওই কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিসাইডিং অফিসার।
অপরদিকে, খেজুরির মানসিংবেড়ে দেওয়াল লিখনকে ঘিরে গণ্ডগোল শুরু হয়েছে। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে পোস্টার-দেওয়াল লেখে তৃণমূল-বিজেপি দু’ পক্ষই। নির্বাচন কমিশন মুছে দেওয়া সত্ত্বেও সেই দেওয়ালেই প্রার্থীর নাম লেখা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
Be the first to comment